পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুরাৎ সুদূরে তদিহাস্তিকে চ । SS Չ করিবার জন্য মানবীয় রূপ ধারণা করিয়া তাহার নিকটে আসিলেন । যেমন প্রেমিক পিতা রাজ্যেশ্বর হইয়া ও ক্ষুদ্র শিশুর সহিত খেলিবার জন্য ক্ষণকালের নিমিত্ত শিশুভাব অবলম্বন করেন, তেমনি ভক্ত বৎসল। ভগবান ভক্তসঙ্গে বিহার করিবার নিমিত্ত ক্ষণকালের জন্য মানবীয় ভাবে অবলম্বন করিয়াছিলেন। অবতারবাদের গৃঢ় তাৎপর্সী এই। সুখের বিষয় এই, বর্তমান সময়ের উন্নত জ্ঞান যেমন একদিকে ঈশ্বরকে যেন কিঞ্চিৎ দূরে ফেলিয়াছে, অপর দিকে অতি অদ্ভুতভাবে তাহার নৈকট্য প্রতিপন্ন করিয়াছে। প্রাচীনকালে লোকের সংস্কার ছিল নারায়ণ বৈকুণ্ঠে বাস করেন। যিহুদী খ্ৰীষ্টীয় ও মুসলমান ধৰ্ম্মে এই ভাব অত্যন্ত প্রবল। ঈশ্বর স্বগে আছেন, সেখান হইতে যেন জগৎ কাৰ্য্যপর্ম্যালোচনা করিতেছেন । ঈশ্বর স্বগে আছেন, যীশু সেখান হইতে আসিয়াছিলেন, আবার মৃত্যুর পর সশরীরে সেখানে গেলেন। মুসলমানগণ বিশ্বাস করেন, মহম্মদ এক বিশেষ দিনে দেবদূত জেব্রিলের সমভিব্যাহারে ঈশ্বরের সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য স্বৰ্গে গিয়াছিলেন । বর্তমান সময়ের উন্নত জ্ঞান সৃষ্টির বহিঃস্থিত উন্নতলোকবাসী এই ঈশ্বরের ভাবকে বিনষ্ট করিয়া তৎপরিবর্তে জড়ে ও চেতনে যিনি ওতপ্ৰোতভাবে সন্নিহিত আছেন, তাহার ভাব আমাদিগের হৃদয়ে আনিয়া দিতেছে। বিজ্ঞান বলিতেছে, যে শক্তিও যে জ্ঞান সুদূরবস্ত্রী জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর গতিবিধির মধ্যে, সেই শক্তি ও সেই জ্ঞান তোমার পদতলবৰ্ত্তী রেণুকণাতে। বিজ্ঞান জগতের আদিকারণ