পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y > R ধৰ্ম্মজীবন থাকেন, তাহদের পক্ষে ঈশ্বরকে অজ্ঞেয় ও অনাবশ্যক বোধে। দূরে পরিহার করা স্বাভাবিক কাৰ্য্য। এইরূপে বিজ্ঞান ও দর্শনের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে একদিকে ঈশ্বর যেন মানবাত্মা হইতে কিঞ্চিৎ দূরে গিয়া পড়িয়াছেন। অথচ প্রেম ও ভক্তির স্বভাব এই যে ইহা নৈকট্য চায়। ভক্তি সৰ্ব্বদাই বলিতেছে ;-

  • দূরে খোকন নাথ ! সম্পাদকালে, ঘোর বিপাকে,

পাপ বিকারে, চিরদিন আমি তোমারি !’ এই যে ভক্তির স্বভাব নৈকট্যস্পাহ, ইহা হইতেই বোধ হয়, প্রায় সমুদায় ভক্তি-প্রধান সম্প্রদায়ের মধ্যে অবতারবাদের সৃষ্টি হইয়াছে। জ্ঞান ঈশ্বরকে ইন্দ্ৰিয়াতীত অনন্ত সত্তারূপে প্ৰতিপন্ন করে । আমরা যখন তাহার অনন্তস্বরূপ ধান করি, তখন দেখি তিনি যেন আমাদের আত্মা হইতে বহু লক্ষ যোজন দূরে রহিয়াছেন। তাহার মহৎস্বরূপের সন্নিধানে আমরা ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্র হইয়া যাই। তঁহাকে নিকটস্থ বলিয়া অনুভব করা দুরে থাকুক, তাহার বিষয়ে চিন্তা করিতে ও চিত্ত বিভ্ৰান্ত হইয়া পড়ে। ভক্তি কিন্তু এ দূরত্ব সহা করিতে পারে না । এই কারণেই উপনিষদে ঋষিগণ জ্ঞান ও ধ্যানযোগে ঈশ্বরের অনন্তত প্রতিপন্ন করিলে, তাহার প্রতিঘাতে যখন ভক্তিমার্গের আবিষ্কার হইল, তখন অবতারবাদ-পূৰ্ণ বৈষ্ণব পুরাণ সকল রচিত হইতে লাগিল। অবতারবাদ এই কারণেই ভক্তহৃদয়ের পক্ষে এত স্পািহণীয়, যে, ইহাতে উপাস্য দেবতাকে ভক্তের নিকটে আনিয়া দেয়। ভক্ত বৎসল। ভক্তের সঙ্গে লীলা