পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 ধৰ্ম্মজীবন । রূপে যে শক্তিকে ধারণা করিতেছে, সেই শক্তি সম্বন্ধে ইহাও অনুভব করিতেছে, যে তাহ অনাদি অনন্ত ও অক্ষয়। পশ্চাতে চাহিলে তাহার আদি কল্পনাতে আসে না ; সম্মুখে চাহিলে তাহার অন্ত ধারণা হয় না ; এবং সেই শক্তির এক কণিকার হ্রাস বা বৃদ্ধি নাই। আস্তিক ভক্তগণ এই অনাদি, অনন্ত ও অক্ষয় শক্তিকেই ভগবাদিচ্ছা বলিয়া অনুভব করিয়া থাকেন। ইহাকে ভগবাদিচ্ছারপে প্ৰতীতি করিলেও আমাদিগকে স্বীকার করিতে হয়, যে ইহা দেশের প্রত্যেক অণু ও কালের প্রত্যেক মুহূৰ্ত্তকে পুর্ণ করিয়া রহিয়াছে। “দুরাৎ সুদূরে তদিহান্তিকে চ পশ্যৎস্বিহৈব নিহিতং গুহায়াং-তিনি দূর হইতে দুরে এবং নিকট হইতেও নিকটে, এবং এই ইন্দ্ৰিয় সকলের মধ্যে হৃদয়গুহাতেই নিহিত হইয়া রহিয়াছেন।” উন্নত জ্ঞান তাহার যে নৈকট্য প্ৰতিপন্ন করিয়া দিয়াছে, প্রেমের দ্বারা সেই নৈকট্যকে ধারণ করিতে হইবে । জ্ঞান ধৰ্ম্মজীবনের অস্থি-সংস্থান করে, প্ৰেম তাহাতে রক্ত মাংস যোজনা করিয়া থাকে । তাহার এই সান্নিধ্য আমাদের আন্তর প্ৰত্যক্ষের গোচর করিতে হইবে । তঁহকে পরম সত্তা ও নিকটস্থ রূপে জানিলে প্ৰেম তাহাকে স্বভাবতঃ আলিঙ্গন করিবে । প্রেমের সঙ্গে সঙ্গেই নির্ভর ; নির্ভরের সঙ্গে সঙ্গেই প্রার্থনা । এরূপ অবস্থাতে প্রার্থনা স্বাভাবিক ও অনিবাৰ্য্য ভাবে উদিত হইয়া থাকে। মনে কর একজন গৃহস্থের পুত্র বিপথগামী হইয়াছে। সে যখন বিপথে পদার্পণ করে, তখন তাহার পিতা তাহাকে বারবার সতর্ক