পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাধারে দেব ও মানব । eAFð উভয় মহাগ্ৰন্থ চিরদিন মানবের চক্ষের সমক্ষে উদঘাটিত রহিয়াছে ; এই উভয়ের পর্য্যালোচনা দ্বারাই মানুষ সমুদায় জ্ঞান লাভ করিয়াছে। ইন্দ্ৰিয়-প্রত্যক্ষ দ্বারা ও আত্মদর্শনের দ্বারা মানুষ যে কিছু জ্ঞান লাভ করিয়াছে, সেই মাল মসলা দিয়াই মানবের জ্ঞানের অট্টালিকা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে । কিন্তু এই ইন্দ্ৰিয়-প্ৰত্যক্ষ-জনিত অথবা আত্মদৰ্শন-জনিত জ্ঞানের অধিকাংশের উপরে মানুষের হাত নাই। আমরা সে সকল জ্ঞান ইচ্ছা করিয়া লাভ করি না, তাহ আমাদিগকে দেওয়া হয় । প্ৰাতঃকালে নেত্ৰীদ্বয় উন্মীলন করিলেই, সুনীল আকাশ ও তরুলতার স্নিগ্ধ হরিৎকান্তি দর্শন করি। কিন্তু আমরা কি সে জ্ঞান ইচ্ছা করিয়া আনয়ন করি ? আকাশ কেন নীলবৰ্ণ দেখায় ? তরুলতা কেন হরিদ্বর্ণ দেখায় ? তাহার উপরে কি আমাদের কোনও হাত আছে ? এইরূপ চিন্তা করিলেই দৃষ্ট হইবে, আমাদের অধিকাংশ জ্ঞানই আমাদের ইচ্ছাধীন নহে ! আবার যাহা ইচ্ছাধীন তাহার উৎপত্তি ইচ্ছাধীন হইলেও তাহার স্বরূপ ইচ্ছাধীন নহে । আমাদিগকে যাহা দেওয়া হইয়াছে, আমরা তাহা পাইয়াছি, এবং তাহারই সংযোগ বিয়োগ দ্বারা আপনাদের উন্নতিসাধন করিতেছি ও সংসারের কার্স্যনির্বাহ করিতেছি, এইমাত্ৰ । g লৌকিক জ্ঞান সম্বন্ধে যেরূপ পরমার্থ জ্ঞান সম্বন্ধেও সেইরূপ। পরমার্থ জ্ঞান আমাদের ইচ্ছাধীন নহে, তাহা তাহার দান। তিনি আমাদিগকে যাহা দেন, আমরা তাঁহাই পাই, তিনি দাতা, আমরা ভোক্তা। তিনি আমাদিগের