পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

go ধৰ্ম্মজীবন । কেহ আধ্যাত্মিক উন্নতি সম্পাদনা করিতে ইচ্ছক, তিনি এই সকল দিয়া আপনার জীবন পরীক্ষা করুন, দেখুন তাহার আকাঙক্ষা হীন হইতেছে কি না, তিনি নিত্য উপাসনা করেন। কি না, তাহার দৈনিক কাৰ্য্য সকলের মধ্যে এমন কিছু আছে কি না যাহাতে আধ্যাত্মিক মলিনতা উৎপাদন করে, তঁহাকে দিন দিন স্বার্থের জালে জড়িত হইয়া পড়িতে হইতেছে কি না, এবং তিনি এমন সকল সঙ্গীর মধ্যে বাস করিতেছেন কি না যাহারা তাহাকে ঈশ্বরের সান্নিধ্য হইতে দূরে লইয়া যাইতেছে। এইরূপে আমাদিগকে সর্বদা আত্মপরীক্ষা করিতে হইবে, এবং যদি দেখি আমাদের ক্ষুধা নষ্ট হইয়া যাইতেছে, তবে যেন তজ্জন্য অনুতাপ করি এবং যে সকল কারণে ঐ রূপ হইতেছে, সে সকল কারণ পরিহার করিতে চেষ্টা করি। ইহাতে আমাদের হৃদয়ে কিছু বিনয় আসিতে পারে। আমরা সকলেই রোগী, রোগের যাতনায় সর্বদা কষ্ট পাইতেছি। আমাদিগের হৃদয়ে কত সময় কত সত্য আসে, আমরা সে সকলকে গ্ৰহণ করি না । চিন্তা করিলে ঃখে ত্ৰিয়মাণ হইতে হয়। জীবনের প্রথম হইতে আজ পৰ্য্যন্ত কত কত সত্য লাভ করিলাম, কত জ্ঞান প্ৰাপ্ত হইলাম, কত উপদেশ শুনিলাম, কিন্তু জীবনে সে উন্নতি দেখা গেল না । এই সকল যখন চিন্তা করি তখন মনে হয়, অন্ততঃ কিছুকালের জন্য এই সকল উপদেশ বন্ধ করা যাউক, এবং যাহা শুনিয়াছি সেই সকল লইয়া কিছুদিন রোমন্থন করা যাউক, পশুরা যেমন রোমন্থন করে, ইচ্ছা! হয় আমরাও সেইরূপ করি। বালকেরা যে পুস্তক পাঠ করে,