ve: qi ve Çetas tri i স্বামিন ! জপ, তপ, নিয়ম, শৌচ, সংযম সকলি তা করিলাম, প্ৰাণের মলিনতা গেলনা কেন ?” এই ক্ষোভের বাণী কত সাধুর মুখে শুনা গিয়াছে ! এই আন্তরিক যাতনা হইতেই প্রেমের ধৰ্ম্মের জন্ম হইয়াছে। প্রেমের ধৰ্ম্মে প্রবেশের দ্বারেই ভগ্ন-হৃদয়ত । য়িহুদীরাজ দায়ুদ ঠিক বলিয়াছেন। বস্তুটা दिः । তাহা একবার প্রণিধান করিয়া দেখা কৰ্ত্তব্য । ধৰ্ম্মজগতের ইতিবৃত্তে দুই জাতীয় ভগ্ন-হৃদয়ত দৃষ্ট হইয়াছে; এক ভগ্ন হৃদয়ত নিজ পাপের স্মৃতিজনিত ; দ্বিতীয় ভগ্নহৃদয়ত অপরের পাপের স্মৃতি ও প্রচলিত ধৰ্ম্মের অসারত-জ্ঞান-জনিত । নিজ পাপের স্মৃতি-জনিত যে ভগ্ন-হৃদয়ত। তাহার দৃষ্টান্ত বিরল নহে, এবং সর্বসাধারনেই তাহা বুঝিতে পারে। সমুদায় প্রেমের ধৰ্ম্মে ইহার দৃস্টান্ত অনেক দেখিতে পাওয়া যায়। চৈতন্য-ধৰ্ম্মে জগাই মাধ্যাই, খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মে সেন্ট-পল ইসলাম ধৰ্ম্মে ওমর ইহার উজ্জ্বল দৃস্টান্ত । যে জগাই মাধ্যই নবদ্বীপের গঙ্গাতীরে শ্মশানের ঘাটে বাস করিয়া দস্তুত করিত, আর যে জগাই মাধাই গৌরচন্দ্রের প্রেমে বন্দী হইয়া হরিনাম লইয়া “দীনের দীন তৃণেরও হীন” হইয়াছিলেন, এই উভয়ে, কত প্ৰভেদ ! যে সল নামক যুবা ষ্টিফেনের হত্যাকালে ঘাতকাদিগের পরিচ্ছদাদি লইয়া বসিয়াছিল, এবং যে যুবক জেরুসালেন নগরীর পুরোহিতগণের নিকট ভার প্রাপ্ত হইয়া খ্ৰীষ্টীয়মণ্ডলীর উৎসাদনার্থ ডামস্কস নগরাভিমুখে যাইতেছিল, সেই যুবকও যে ভগ্ন-হৃদয় পুরুষ যীশুর প্রেমের অনুরোধে বিনীত অন্তরে সর্ববিধ অত্যাচার, নিৰ্য্যাতন ও উপদ্রব সহ করিতেছেন, এ
