পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবীৰ চক্ষুরাততং। তদ্বিষ্ণোঃ পরং পদং সদা পশ্যন্তি সূৱয়ঃ দিবীব চক্ষুরা VOVoss - অর্থ-“চক্ষু যেমন আকাশে বিস্তৃত পদার্থকে দর্শন করে তেমনি পণ্ডিতগণ ও সেই সৰ্ব্বব্যাপী ব্ৰহ্মের পরম পদকে দর্শন করিয়া থাকেন ।” পূর্বোক্ত বেদমন্ত্ৰটী এতদ্দেশে সুপ্ৰসিদ্ধ। প্ৰতিদিন সহস্ৰ সহস্ৰ ব্ৰাহ্মণ বিবিধ প্ৰকার ধৰ্ম্মানুষ্ঠান উপলক্ষে এই মন্ত্র উচ্চারণ করিতেছেন। এই মন্ত্রটর তাৎপৰ্য্য কি তাহা আমরা একবার গ্ৰহণ করিবার চেন্টা করি । চক্ষু আকাশে বিস্তৃত পদার্থকে যেরূপে দেখে, সাধকগণ সৰ্ব্বব্যাপী ব্ৰহ্মের পরম পদকে সেই ভাবে দর্শন করিয়া থাকেন। একথা বলিবার তাৎপৰ্য্য এই, ইন্দ্ৰিয়গোচর পদার্থ বিষয়ে মানুষের যেমন নিঃসংশয় প্ৰতীতি জন্মে, ব্ৰহ্মবিষয়ে ও জ্ঞানিগণের সেইরূপ প্ৰতীতি জন্মিয় থাকে। যে ঋষি পুৰ্ব্বোক্ত বচন রচনা করিয়াছিলেন। তঁহার অন্তরে কি প্রকার জ্ঞানের ভাব বিদ্যমান छिङ ? 屿 আমাদের এ দেশের দর্শনকারগণ তিন প্রকার প্রমাণকে জ্ঞানের দ্বারস্বরূপ অবলম্বন করিয়াছেন । প্ৰত্যক্ষ, অনুমান ও শব্দ বা আপ্তবচন । পদার্থ বিশেষ ইন্দ্ৰিয়গোচর হইলে যে জ্ঞানের উৎপত্তি হয়, তাহ প্ৰত্যক্ষ জ্ঞান ; জ্ঞাত বিষয়কে