পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মাধ্যক্ষঃ সৰ্ব্বভুতাধিবাসঃ। \ সে উপদেশ দিয়া ছিল “রাম” এ উপদেশ দিতেছে “হারি,” তাহা হইলে নিরুত্তর । যে স্মৃতির দোহাই দিয়া নিজের অভিন্নতা প্ৰতিপন্ন হইবে, তাহার সত্যবাদিতাতেই সন্দেহ, . সুতরাং বিচারের আর উপায় নাই। সেইরূপ যদি কেহ বলেন ঐ যে বৃক্ষপত্র গুলিকে হরিদ্বর্ণ বোধ করিতেছ। উহা ভ্ৰান্তি, উহা হরিদ্বর্ণ নহে, যোগীগণ যোগনেত্রে উহাদিগকে । পীতবর্ণ দেখিয়া থাকেন, এবং তাহাই সত্য । তাহা হইলেও নিরুত্তর । মনে মনে বলি যখন যোগী হইব। তখন না হয়। পীত বলিব, এখন তা হরিদ্বর্ণই বলি । সেইরূপ অদ্বৈতবাদ ও দ্বৈতবাদ ইহার মধ্যে কোনটী যুক্তিযুক্ত ; এই মহাতর্কে প্রবিষ্ট না হইয়া । এইমাত্র বলি, বস্তু মূলে এক কি দুই সে সম্বন্ধে কিছু বলিতেছি। না, এখন ত আপনাকে জগৎ হইতে ও জগদাত্মা হইতে পৃথক । দেখিতেছি, এখন তাহাই ভাবি, ও তদনুসারে কাৰ্য্য করি। " যে কারণেই হউক, যেরূপেই হউক, জগদাত্মা আমাকে একটু স্বতন্ত্র অস্তিত্ব দিয়াছেন, আমি সেই টুকুর উপরেই প্রতিষ্ঠিত থাকি। এই দ্বৈতভাব অনুভব করিয়াই উপনিষদে ঋষি বলিয়া- ? 6छन्,- “দ্ব সুপর্ণ সাযুজাঁ সখায়া সমানং বৃক্ষং পরিষস্বজাতে।” অর্থ-“দুই সুন্দর পক্ষবিশিষ্ট পক্ষী এক বৃক্ষকে আশ্রয় করিয়া রহিয়াছে।” দুই সুন্দর পক্ষ বিশিষ্ট পক্ষী জীবাত্মা' ও ' পরমাত্মা । ইহারা উভয়ে এক দেহকে আশ্রয় করিয়া বাস করিতে-" ছেন। * ইহাদের একজন আশ্রয় অপরে আশ্রিত। এই নিগুঢ় সম্বন্ধ কি প্রকার তাহ বাক্যে প্ৰকাশ চিন্তাতে ধারণা হয় না ;