পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিবারে ধৰ্ম্মসাধন । 8) ছিটাগুলি পুরে, তাহার দুইটী দ্বারা কাৰ্য সিদ্ধ হয় আর অষ্টাদশটী কেবল সেই দুইটীর বল বৃদ্ধি করে, নতুবা অপরদিকে দেখিতে যেন বৃথা যায়, তেমনি প্ৰকৃতি বিংশতিটার দ্বারা কাৰ্য্য সিদ্ধি করিবার উদ্দেশে শতটা জীব সৃষ্টি করেন ; সেই শতাঁটী জীবের মধ্যে অশীতিটা উক্ত বিংশতিটিকে শক্তিশালী করিয়া দিয়া অকালে নিধন প্ৰাপ্ত হয়। এ কি বিস্ময়জনক ব্যবস্থা !! ইহাতে ভাল মন্দ যিনি যেরূপ বিচার করিতে হয় করুন, ইহাই প্ৰকৃতি রাজ্যের ব্যবস্থা । সংগ্রামের দ্বারাই শক্তির বিকাশ । অতএব জনসমাজই মানবচরিত্রের মহত্ত্ব বিকাশের প্রকৃত স্থান। জনসমাজ যদি মানবের ধৰ্ম্মজীবনের বিকাশের নিমিত্ত ঈশ্বরের বিধান স্বরূপ হইল, তাহা হইলে জনসমাজের ভিত্তি স্বরূপ পরিবার ও যে ঈশ্বরের বিশেষ বিধান, তাহাও সহজে অনুমান করিতে পারা যায়। যে সকল শ্রেষ্ঠ সদগুণ আজীবন মানবকে এজগতে উন্নত ও সুখী করে তাহার অভু্যুদয়, রক্ষা, শিক্ষা, ও বিকাশের সর্বোৎকৃষ্ট স্থান পরিবার। প্ৰথম, পরিবারের ভিত্তিস্থাপন প্রণয় ও পরিণয়ে। পুরুষ ও রমণী যখন প্ৰণয় দ্বারা পরস্পরের দিকে আকৃষ্ট হইয়া পরিণয় সূত্রে বদ্ধ হন, তখন কি তাহারা অনুভব করেন, ঈশ্বর কিরূপ বিদ্যালয়ে তাহাদিগকে ভৰ্ত্তি করিতেছেন ? তাহারা তঁহাদের স্বভাব-নিহিত প্ৰবৃত্তির গুণেই পরস্পরের দিকে আকৃষ্ট হইয়া থাকেন, কিন্তু বিধাতার মঙ্গলময় হস্তে এই প্ৰণয়, তাহাদের উভয়ের শিক্ষা ও বিকাশের একটি অদ্ভুত যন্ত্রস্বরূপ