পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিবারে ধৰ্ম্মসাধন । R প্রতিপদেই আধ্যাত্মিক শিক্ষা । মানবচরিত্রকে যে সকল সদগুণে সমুন্নত করে, তন্মধ্যে গ্ৰীতি, নিঃস্বাৰ্থতা, সংযম, ও দায়িত্ববোধ বা কৰ্ত্তব্য জ্ঞান প্ৰধান । চিন্তা করিয়া দেখা পিতা মাতার ক্ৰোড়ে শিশু সন্তান জন্মিলেই তাহদের অন্তরে এই চারিট সদগুণের বিকাশ হয় কি না ? প্রথমতঃ স্নেহের কি অপূৰ্ব শক্তি ! ইহা মনকে পবিত্ৰ সুস্নিগ্ধ ও নিঃস্বাৰ্থ করে। পিতা মাতার স্নেহ, এবং শিশু সন্তানদিগের কপটতাশূন্য, চাতুরীশূন্য, সরলতাপূর্ণ গতিবিধি এই উভয়ে মিলিয়া পরিবার মধ্যে এমন এক প্রকার পবিত্রতার বায়ু প্ৰস্তুত করে, যাহাতে বাস করিলে উত্যক্ত চিত্ত পবিত্র ও শান্ত হয় । স্নেহ পিতা মাতার চিত্তকে কেমন সুকোমল ও সুস্নিগ্ধ করে । তাহা কি তাহাদের পক্ষে এক সুমহৎ শিক্ষা নহে। ইহা কতবার দেখিয়াছি যে একজন উদ্ধত, গৰ্ব্বিত, আত্মম্ভরী ও নীরসহৃদয় পুরুষ যাহাকে কেহই এবং কিছুতেই নরম করিতে বা বাধিতে পারে নাই, তাহাকে একটী ক্ষুদ্র শিশু এমনি বাধিয়াছে, যাহা একগাছি তৃণের দ্বারা একটি মদমত্ত বারণকে বাধা অপেক্ষা কোনও অংশেই অল্প বিস্ময়কর নহে। এ কেমন শিক্ষা, এ কেমন গুরুর বিদ্যালয় ! তৎপরে নিঃস্বর্থতা; স্নেহই নিঃস্বর্থতা আনিয়া দেয়। সন্তানদিগের কল্যাণ-চিন্তায় পিতামাতাকে নিজ নিজ স্বার্থ ভুলিয়া যাইতে হয়। আপনার না খাইয়া তাহাদিগকে খাওয়াইতে হয়, আপনার না পরিয়া তাহাদিগকে পরাইতে হয়। ইহা কেমন শিক্ষা ! তৃতীয়তঃ এই সঙ্গে সঙ্গেই সংযম