পাতা:ধর্ম্মতত্ত্ব-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ অধ্যায় –ঈশ্বরে ভক্তি । শিস্য। জ্ঞানবাদ বড় অসম্পূর্ব বলিয়। অন্ত্ৰ বোধ হয় । পারি বটে, কিন্তু জ্ঞানে কি ঈশ্বরকে পাওয়া যায় { জানিলেই কি পাও সঙ্গে আত্মার এক, মনে করুন বুঝিতে পারিলাম—বুঝিতে পারিলেই হইলাম ? ছুইকে এক করিয়া মিলাইয়া দিবে কে ? গুরু । এই ছিদ্রেই ভক্তিবাদের স্থষ্টি । ভক্তিবাদী বলিলেন, জ্ঞানে ঈশ্বর জানিতে পারি বটে, কিন্তু জানিতে পারিলেই কি তাহাকে পাইলাম ? অনেক জিনিস আমরা জানিয়াছি—জানিয়াছি বলিয়া কি তাহ পাইয়াছি ? আমরা যাহাকে দ্বেষ করি তাহাকেও ত জানি, কিন্তু তাহার সঙ্গে কি আমরা মিলিত হইয়াছি ? আমরা যদি ঈশ্বরের প্রতি দ্বেষ করি, তবে কি তাহাকে পাইব ? বরং যাহার প্রতি আমাদের অনুরাগ আছে, তাহাকে পাইবার সম্ভাবনা । যে শরীরী, তাহাকে কেবল অমুরাগে না পাইলে না পাওয়া যাইতে পারে, কিন্তু যিনি অশরীরী, তিনি কেবল অস্তঃকরণের দ্বারাই প্রাপ্য। অতএব তাহার প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ থাকিলেই আমরা তাহাকে পাইব । সেই প্রকারের অনুরাগের নাম ভক্তি । শাণ্ডিল্য সূত্রের দ্বিতীয় সূত্র এই—“সা ( ভক্তি: ) পরামুরক্তিরীশ্বরে।” শিষ্য। ভক্তিবাদের উৎপত্তির এই ইতিমুত্ত্ব শুনিয়া আমি বিশেষ আপ্যায়িত হইলাম । ইহা না শুনিলে ভক্তিবাদ ভাল করিয়া বুঝিতে পারিতাম না। শুনিয়া আর একটা কথা মনে উদয় হইতেছে। সাহেবের এবং দয়ানন্দ সরস্বতী প্রভৃতি এদেশীয় পণ্ডিতের বৈদিক ধৰ্ম্মকেই শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম বলিয়া থাকেন, এবং পৌরাণিক বা আধুনিক হিন্দুধৰ্ম্মকে নিকৃষ্ট বলিয়া থাকেন। কিন্তু এখন দেখিতেছি, এ কথা অতিশয় অযথার্থ। ভক্তিশূন্ত যে ধৰ্ম্ম, তাহা অসম্পূর্ণ বা নিকৃষ্ট ধৰ্ম্ম—অতএব বেদে যখন ভক্তি নাই, তখন বৈদিক ধৰ্ম্মই নিকৃষ্ট, পৌরাণিক বা আধুনিক বৈঞ্চবাদি ধৰ্ম্মই শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম । র্যাহার এ সকল ধর্মের লোপ করিয়া, বৈদিক ধর্মের পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা করেন, তাহাদিগকে ভ্ৰাম্ভ বিবেচনা করি – গুরু। কথা যথার্থ। তবে ইহাও বলিতে হয় যে, বেদে যে ভক্তিবাদ কোথাও নাই, ইহাও ঠিক নহে। শাণ্ডিল্য সূত্রের টীকাকার স্বপ্নেশ্বর ছান্দোগ্য উপনিষদ হইতে একটি বচন উদ্ধৃত করিয়াছেন, তাহাতে ভক্তি শব্দ ব্যবহৃত না থাকিলেও ভক্তিবাদের BBBB BBBB BBBS BBB ggDSBBBB BBBB S BBBBBB BBBBD মম্বান এবং বিজানন্নাত্মরতিরাত্মক্রীড় আত্মমিথুন আত্মানন্দ স স্বরাড়, ভবতীতি।” ইহার অর্থ এই যে, আত্মা এই সকলই (অর্থাৎ পূৰ্ব্বে যাহা বলা হইয়াছে )। যে ইহা দল্লি, ইহ ভাবিয়া, ইহা জানিয়া, আত্মায় রত হয়, আত্মাতে ক্রীড়াশীল হয়, আত্মাই রিলিন্ত ।