পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিংশ পরিচ্ছেদ ૨૨૭ স্বত্রে রমলা প্রায় সৰ্ব্বদাই মেটা সাহেবের বাড়ী যান ; তাহাকে অনুরোধ করিলে তিনি বোধ হয় কর্ণেলিয়াকে গিয়া দেখিয়া আসিতে পারেন। রমলা অত্যন্ত বুদ্ধিমতী, তিনি সকল সংবাদ লইয়া আসিতে পারিবেন। আমার গাড়ী প্রস্তুত আছে, আমি একবার তাহার কাছে যাই, তুমিও চল ।” দস্তুর সাহেব আর নওরোজির উত্তরের প্রতীক্ষা না করিয়া তাহার হাত ধরিয়া নিজের গাড়ীতে টানিয়া তুলিলেন, এবং তাহাকে তাহার পাশে বসাইয়া ফজল ভাই সাহেবের বাড়ীতে যাইবার জন্য কোচম্যানকে আদেশ দিলেন । দ্বারবান নিঃশব্দে তাহার মনিবের কাজ দেখিতেছিল ; একটা নগণ্য নোংরা সামান্ত শ্রমজীবির সহিত তাহার মনিবকে এরূপ সমকক্ষের ন্যায় ব্যবহার করিতে দেখিয়া সে তাহার চক্ষুকে বিশ্বাস করিতে পারিল না ; কিন্তু তাহার যে চক্ষুর দোষ ঘটিয়াছে এরূপ মনে করিতেও তাহার কষ্ট হইল ; সুতরাং বেচারা অগত্য বন্দুকটা বামস্কন্ধ হইতে দক্ষিণ স্কন্ধে লইয়া পুনৰ্ব্বার পূর্ববৎ গম্ভীর ভাবে বিচরণ করিতে লাগিল । দশ মিনিটের মধ্যেই দস্তুর সাহেবের ‘ল্যাণ্ডে’ দ্রুতবেগে ফজলভাই জিজিভাই সাহেবের ফটকের মধ্যে প্রবেশ করিল। গাড়ী থামিতে না থামিতে দস্তুর সাহেব তাড়াতাড়ি নামিয়া নওরোজিকে বলিলেন, “তুমি গাড়ীতেই থাক, আমি এখনই আসিতেছি।” এখানে আমরা বাই সাহেবার কিঞ্চিৎ পরিচয় দিব । রমলা মুন্দরী, পারসী সমাজে এমন সুন্দরীর সংখা অত্যন্ত বিরল ; তাহার সৌন্দর্য্যে