পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাবিংশ পরিচ্ছেদ &$9) নওরোজি জিজ্ঞাসা করিলেন, "যে বিলখানির টাকা চুকাইয় দেওয়া হইল, সেই বিলের পরিমাণ কি ঠিক আড়াই হাজার টাকা ?” রমলা বলিলেন, “ন, ঠিক আড়াই হাজার টাকা নয়, পঞ্চাশ ষাটু টাকা কম হইতে পারে।” ol. নওরোজি জিজ্ঞাসা করিলেন,"সে টাকা আপনি ফেরৎ পাইয়াছেন ?” রমলা বলিলেন, “না, আমি তাহ চাই নাই, কিন্তু সে আড়াই হাজার টাকারই রসিদ দিয়াছিল ; সম্ভবতঃ আমার অন্য বিল হইতে অতিরিক্ত টাকাটা বাদ দেওয়া তাহার অভিপ্রায় ছিল ; হয়ত টাকা গুলি ফেরৎ দিবার কথা উত্তেজনা বশতঃ সে ভুলিয়া গিয়াছিল।” নওরোজি বলিলেন, “কিন্তু পকেট হইতে দোয়াত কলম বাহির করিয়া রসিদ দিতে তাহার ভুল হইল না !” রমলা বিস্ময় বিক্ষরিত মেত্রে নওরোজির মুখের দিকে চাহিয়া রাহলেন । নওরোজি বলিলেন, “এই জহুরীর সহিত পেষ্টনজির পরিচয় কোথায় ? জহরি টাক লইয়া যে বিল দিয়া গেল, সেই বিলখানি আপনার কাছে আছে ত ।” এবার রমলার মুখ শুকাইয়া গেল ; তিনি বলিলেন, “আমি বুঝিতেছি আমার বিরুদ্ধে একটা ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র হইয়াছে ; বিলখানা ত আমার কাছে নাই ! পেষ্টনজি তাহা লইয়া অবজ্ঞাভরে টেবিলের উপর ফেলিয়া রাখিয়াছিল, তার পর উঠিয়া যাইবার সময় সে তাহ পকেটে পুরিয়া লইয়া গিয়াছে।” নওরোজি বলিলেন, "তাহা হইলে এখন ব্যাপারটা বেশ বুঝা