পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ՀՀ, সে এতই অন্যমনস্ক হইয়াছিল যে, এমিলি কখন গৃহত্যাগ করিয়া গিয়াছে তাহা সে লক্ষ্য করে নাই –প্রেমজি বিরক্তি ভরে বলিল, "এমিলির এ বড় অন্যায়, আমাকে জিজ্ঞাসা না করিয়াই লইয়া গেল।” হীরাজি বলিল, “উত্তম করিয়াছে। নিজের উপর তোমার যে বিশ্বাস নাই, তোমার উপর বাইসাহেবার তাহ অপেক্ষা অনেক বেশী বিশ্বাস আছে —টাকা তুমি যখন পার শোধ করিও, তবে শতকরা বারটাকা সুদের অঙ্গীকার করিয়া আমাকে একখানি হ্যাগুনোট লিখিয়া দিতে হইবে।” প্রেমজি জিজ্ঞাসা করিল, “হ্যাগুনোট ! আমাকে দিয়া লিখাইয়৷ লইবেন ?” হীরাজি বলিল, “হা, আমি দস্তুর মত কাজ করি, সকলেরই তা করা উচিত। টাকা যখন দিতেছি, তখন লেখা পড়া না করিয়া দিব কেন ?” প্রেমজি হাসিয়া বলিল, “আমার মত গরিবের হ্যাণ্ডনেটের মূল্য অনেক !” হীরাজি ততোধিক হাসিয়া বলিল, “ভয় নাই বাপু, টাকার জন্য তোমাকে জেলে দিব না। যা দস্তুর, সেইমত কাজ কর।” প্রেমজি হীরাজির ফরমাইসমত লিখিতে লাগিল,—“অদ্য ১৮৮৭ অব্দের ১০ই জুলাই হীরাজীর নিকট নগদ একশত টাকা প্রাপ্ত হইয়া অঙ্গীকার করিতেছি যে, তিনি চাহিবামাত্র ঐ টাকা তাহাকে শতকরা বার্ষিক ১২ বার টাকা হারে সুদ সমেত প্রত্যপণ করিব। প্রেমজি ।”