পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ షిఆసి প্রেমজি কোন কথা বলিল না, তাহার চক্ষুর সম্মুখে ব্ৰহ্মাণ্ড ঘুরিতে লাগিল । হীরাজি বলিল, “তোমার হতবুদ্ধি হইলে চলিবে না।” প্রেমজি জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি ঐ স্ত্রীলোকটকে এ সকল মিথ্যা কথা কেন শিখাইয়াছ ?” হীরাজি রাগ করিয়া বলিল, “মিথ্যা কথা কোনটা হইল ? এত দেখিয়া শুনিয়াও কি তুমি কিছু বুঝিতে পারিতেছ না ?” প্রেমজি বলিল, “না আমি তত নিৰ্ব্বোধ নহি, আমি সবই বুঝিতে পারি ; আমি বুঝিতেছি এখন হইতে নুতন মুখোস পরিয়া আমাকে নূতন নাটকের অভিনয় করিতে হইবে, তাহারই মহড়া আরম্ভ হইয়াছে।” : புது হীরাজি বলিল, “হঁ। তুমি ঠিক বুঝিয়াছ, তোমার জীবনের ব্ৰত সফল করিতে হইলে এই পথেই চলিতে হইবে ; তোমাকে কি ভাবে অভিনয় করিতে হইবে, এবং যদি তুমি অভিনয়ে কৃতকাৰ্য্য হইতে পার, তাহা হইলে তুমি কি পুরস্কার লাভ করিবে, সে কথা পরে জানিতে পারিবে ।” প্রেমজি বলিল, “এখন জানিতে দোষ কি ?” হীরাজি বলিল, “এত ব্যস্ত হইলে চলিবে না, একট প্রকাও ইমারত একদিনে প্রস্তুত হয় না। আমি তোমাকে যে পথে চলিতে, বলিব, সেই পথেই অন্ধের মত চলিতে হইলে ; আমরা তোমার হিতাকাজকী, আমাদের প্রত্যেক উপদেশ পালনের জন্য তুমি প্রস্তুত হও । ঐ দাসীটা তোমার সম্মুখে যে সকল কথা বলিয়া গেল, তাহা সকলই