পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ VIII বিস্তার করিয়া আসিতেছেন, কিন্তু তাহাদের এ আধিপত্য অণর অধিক কাল স্থায়ী হইবে না ; এই সকল অজ্ঞাত বংশ-সস্তৃত ব্যবসায়ীর অগাধ অর্থ ও ক্ষমতার সাহায্যে শীঘ্রই সমাজের নেতৃত্ব লাভ করিবে। সুতরাং এখন হইতেই ইহাদের সহিত আমাদের আত্মীয়তা-বন্ধনে আবদ্ধ না হইলে, আমাদের পূর্বপ্রতিষ্ঠা অক্ষুন্ন রাখিবার উপায় নাই।" বায়রামজির হৃদয়ে তখন তুমুল ঝটিকা উপস্থিত হইয়াছিল, সে পিতার কোনও কথার উত্তর করিল না ; বোধ হয় তাহার সকল কথা তাহার কর্ণেও প্রবেশ করে নাই। আমিনার মোহিনী মূৰ্ত্তি তাহার হৃদয়ে ইন্দ্রজালের স্বষ্টি করিয়াছিল ; সেই সুন্দর মুখখানি সে কোন মতেই ভুলিতে পারিতেছিল না। তখন তাহার ক্ষুব্ধ, ব্যথিত, বিচলিত হৃদয় যেন নিদাঘ-মধ্যাহ্নের উদাম উত্তপ্ত বায়ুহিল্লোলের ন্যায় নদীতীরবত্তী সেই প্রান্তর প্রান্তে অত্যন্ত উদাস ভাবে ঘুরিয়৷ বেড়াইতেiছল । রাত্রে তাহার সুনিদ্রা হইল না । পরদিন মধ্যাহ্নে আহারাদির পর বায়রামজি বন্দুক ও তাহার মৃগয়ার সহচর টাইগার’কে সঙ্গে লইয়৷ পূৰ্ব্ববর্ণিত ইক্ষুক্ষেত্রের নিকট আসিয়া আমিনার দর্শনাশায় সন্ধ্যা পর্য্যন্ত অপেক্ষা করিল ; কিন্তু সে দিন আর আমিনার সহিত তাহার সাক্ষাৎ হইল না। আমিন কেন আসিল না, তাহা বুঝিতেন। পারিয়া, সে ক্ষুণ্ণ মনে গৃহে প্রত্যাগমন করিল। এই এক দিনের আদর্শনেই বায়রামের হৃদয় দ্বিগুণ অধীর হইয় উঠিল। পরদিন যথাসময়ে বায়রাম আবার সেই ইক্ষু ক্ষেত্রে আসিয়৷ অপেক্ষা করিতে লাগিল । অনেকক্ষণ পরে টাইগার’ যেন কোনও