পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नदिक्षांन te without offence-পূজোও করিনে, মন্দিরেও যাইনে, কেষ্টবিষ্টকে ধরে খোঁচাখুঁচি করার কু-অভ্যাসও আমাদের নেই-মেয়েরা ত আরও harmless ; আমরা সহজ মানুষ-লোক ভাল । কি হবে ভাই আমাদের অতবড় পাঁচ-সাতটা অক্ষরের সহধৰ্ম্মিণী নিয়ে, ছোট্ট একটু স্ত্রী হলেই আমাদের খাসা চলে যাবে। তুমি ভাই দয়া ক'রে একটু রাজী হও-ভবানীপুরের ওঁরা ভারি ধরেচেন-তোমার বোনটিরও ভয়ানক ইচ্ছে, কথাটা রাখে। শৈলেশ । শৈলেশ মুখ অন্ধকার করিয়া উঠিয়া দাড়াইয়া কহিল, তুমি আমাকে বিদ্রুপ কারচো ক্ষেত্ৰ । ব্যাপার দেখিয়া উমা শশব্যস্ত হইয়া উঠিল । ক্ষেত্ৰমোহন ভীত হইয়া বার বার করিয়া বলিতে লাগিলেন, না ভাই শৈলেশ, না । যদি ও-রকম কিছু করেও থাকি, তোমার চেয়ে আমাকেই আমি “বেশি করেচি } শৈলেশ প্ৰতিবাদ করিল না, কেবল স্তব্ধ হইয়া দাড়াইয়া ब्रश्व् ि। পনেরো কথাটাকে আর অধিক ঘাটাঘাটি না করিয়া ক্ষেত্ৰমোহন শৈলেশের ক্রোধ ও উত্তেজনাকে শান্ত হইবার পাঁচ-সাতদিন সময় দিয়া, আর একদিন ফিরিয়া আসিয়া তখন ভবানীপুর সম্বন্ধে আলোচনা করিবেন, ইহাই স্থির করিয়া তিনি উমাকে সঙ্গে লইয়া বাড়ী চলিয়া গেলেন.। কিন্তু সপ্তাহ গতি না হইতেই ছাপরা কোটে হঠাৎ একটা মোকদ্দমা পাওয়ায় তাহাকে কলিকাভুকা ছাড়িয়া যাইতে হইল । যাইবার পূর্বে পাত্রী-পক্ষ ও পাত্ৰ-পক্ষের তরফে বিতাকে