পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । যোগীর শরীরে ষেন জীবনসঞ্চার হইতেছে ধীরে ধীরে, কঁাপিতেছে ধীরে সেই প্রসারিত বক্ষ, শাস্তু সরোবরে বহিছে হিল্লোল যেন অতি ধীরে ধীরে । গোবিন্দ মেলিলা আঁখি ; কি যেন কি আভা ভাস সেই চক্ষে,পুনঃ গেল মিশাইয়া । । ঈষৎ হাসিয়া কৃষ্ণ, বড় প্রীতি-মাখ । সেই হাসি, ডাকিলেন—“সখে ধনঞ্জয় ।” সভয়ে সন্ত্রমে পার্থ হয়ে অগ্রসর হইলা প্রণত পদে, সাদরে কেশব বসাইয়া পার্থে কাছে অজিন অসনে, বলিতে লাগিল। প্রীত সস্থিত বদনে“অতীত নিশাদ্ধ, সধে, কেন এতক্ষণ রহিয়াছ অনিদ্রিত ? স্কৃপ্ত চরাচর । নিদ্রার কোমল অঙ্কে ।” . . . বসিয় উষ্ঠানে দেখিতেছিলাম, দেব, রৈবতক-শোভা মনোহর চক্রালোকে । অজ্ঞাতে কেমনে বহিল শৰ্ব্বী-শ্রোত, ফিরিত্বে আলয়ে ভ্ৰমে প্রবেশিয়া এই পবিত্র নিবাস, , তীর্থধাম, করিয়াছে কলুষিত দাস। এই আত্মপ্লানি, সখে, মহত্ত্ব তোমার । অপূৰ্ব্ব বীরত্বে, দেবচরিত্রে যাহার, পুণ্যবান ধরাধাম, এ কি গ্লানি তব ! থাকুক কৃষ্ণের কক্ষ, বক্ষও তাহার হয় পৰিত্রিত দেহপরশে তোমার ।