দিতেছেন। কিন্তু কুন্দমালা নিতান্ত অনাথা; আর, আমি যত দূর বুঝিতে পারিতেছি, এ বিষয়ে তাহার কোনও অপরাধ নাই। এজন্য, আমি তাহাকে মাস মাস যে দশ টাকা দিতেছি, তাহা দিব, কদাচ তাহা রহিত করিব না। এই বলিয়া, আমি তাঁহাদের নিকট হইতে চলিয়া গেলাম।
ইহার কিছু দিন পরে, বাবু দীননাথ বসু উকীলের নিকট হইতে নিম্নদর্শিত পত্র পাইয়াছিলাম।
“পরমপূজনীয় শ্রীযুত ঈশ্বরচন্দ্রবিদ্যাসাগর
প্রণাম শতসহস্র নিবেদনঞ্চ বিশেষঃ।—
মহাশয়ের সহিত আমার সাক্ষাৎ হইবার পরেই ৺মদনমোহন তর্কালঙ্কার মহাশয়ের জামাতা আসিয়াছিলেন। তাঁহাকে সকল কথা কহাতে অনেক বাদানুবাদের পর তেঁহ অত্র বিষয় সালিস দ্বারা নিষ্পত্য করা ভাল বলিয়া প্রকাশ করাতে আমি তাঁহাকে তদ্বিষয় ধার্য্য ও তাহাতে আপনকার কিরূপ অভিরুচি হয় তাহা জানিবার কথা কহাতে তিনি তাহার স্থির করিয়া আমাকে কহিবেন বলিয়া যান। তদবধি আমি তাহার কোন সংবাদ না পাওয়ায় অত্র বিষয়ে কোন উত্তেজনা করি নাই। আমার নিজ মঙ্গল মহাশয়ের শারীরিক কুশলসংবাদে তুষ্ট রাখিবেন। ইহা নিবেদনেতি তারিখ ২৬ জ্যৈষ্ট।
মোঃ বাগবাজার।”