পাতা:নীতি-সন্দর্ভ.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Wう সৎসাহস । তখন মনের পরিবর্তন ঘটে—কিন্তু হৃদয়ের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া এইরূপ দোষ স্বীকার করা উচিত, নতুবা ইহাদ্বারা কোন উপকার সাধিত হয় না । অল্পবয়স্ক বালকবালিকাকে বাধ্য করিয়া এরূপ দোষস্বীকার করাইলে, তাহাতে কোন উপকার হওয়া দূরে থাকুক, বরং ইহাদ্বারা প্রকারান্তরে মিথ্যারই প্রশ্রয় প্রদান করা হয় । কেবল কলহলিবারণের জন্য কাহাকে দোষস্বীকার করিতে বাধ্য কর। নিতান্ত মুঢ়তার কার্য্য। কেহ কেহ দোষস্বীকার করিতে অপমান বোধ করেন ; কিন্তু ইহাতে অসম্মানের কোন কথা নাই, পরস্তু ইহা দ্বারা সত্যনিষ্ঠ ও সরলতার পরিচয় প্রদান করা হয় । কোন কোন ব্যক্তির মিথ্যা বল এতদূর অভ্যস্ত হইয় পড়ে যে, মিথ্যা বলিবীর ইচ্ছা না থাকিলেও তাহারা সময় সময় অলক্ষিতভাবে সত্যের অপলাপ করে । যাহাদের মিথ্যা বলা এইরূপে তাভ্যস্ত হইয়া পড়িয়াছে, তাহারা আবার অভ্যাসের বলেই এই অসৎপ্রবৃত্তির হস্ত হইতে মুক্তিলাভ করিতে পারেন। প্রস্তাবান্তরে উক্ত হইয়াছে, অভ্যাস সংকাৰ্য্যে প্রয়োগ করিলে যেমন সুফল উৎপাদন করে, সেইরূপ অসৎকর্ঘ্যে প্রয়োগ করিলে ইহা কু-ফল প্রসব করে। যদি সৰ্ব্বদা সত্য বলিতে সচেষ্ট হওয়া যায়, তাহা হইলে অভ্যাসের শক্তি দ্বারা সত্য বলিবার সংস্কার মনোমধ্যে বারংবার স্ফুরিত ও উদ্দীপিত হইতে থাকিবে, এবং কালে এই সংস্কারই দৃঢ়মূল হইয়া মিথ্যা বলিবার অভ্যাস নিৰ্ম্মল করিবে ।