পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৮৮
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

 রহমৎ খাঁ বলিলেন, “নিতান্ত দরকারী মনে করেন তো আমি যাইব; কিন্তু আমার দাদা অসুস্থ, তাঁহাকে কেন কষ্ট দিবেন?” এই বলিয়া তিনি একখানি পাঁচ টাকার নোট তাহার হাতে গুঁজিয়া দিলেন।

 কনষ্টেবল সেই নোটখানি পকেটে রাখিতে-রাখিতে বলিল, “না, না, ওসব দু’পাঁচ টাকার ঘুষ আমি গ্রহণ করি না। চলুন, থানায় চলুন!”

 রহমৎ খাঁ পুনরায় একখানি পাঁচ টাকার নোট বাহির করিলেন এবং পুলিশটিকে তাহা দিলেন। কনষ্টেবলটি তাহা গ্রহণ করিল বটে, তথাপি দৃঢ় হইয়া রহিল।

 সে কহিল, “আপনারা আমাকে ভুল বুঝিয়াছেন। এই সামান্য গোটা-কয়েক টাকার জন্য আমি আমার দারোগাসাহেবের অবাধ্য হইতে পারি না।”

 অগত্যা আরও সাতটাকা— খরচ করিতে হইল; কিন্তু সতেরোটি টাকা হস্তগত করিয়াও সে নিশ্চল ভাবে দাঁড়াইয়া রহিল, তাহার নড়িবার কোন লক্ষণই দেখা গেল না। সুভাষচন্দ্র ও রহমৎ খাঁ বিস্মিতভাবে তাহার দিকে তাকাইলেন।

 রহমৎ খাঁর হাতে ছিল সুভাষচন্দ্রের রিষ্ট্ ওয়াচ্। তাঁহারা উভয়েই লক্ষ্য করিলেন, কনস্টেবলের সতৃষ্ণ দৃষ্টি তাহাতেই নিবদ্ধ। মুখ ফুটিয়া সে তখন একবার জিজ্ঞাসা করিয়াও ফেলিল, “এই ঘড়ীটা খুব সুন্দর, বেশ দামী বলিয়া মনে হয়; ইহার দাম কত?”