পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৬
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

নেতাকে গৃহে আশ্রয় দিতে তিনি ভয় পাইতেছেন। সুতরাং বোস্ বাবুর স্থান তাঁহার নিজের বাড়ীতেই করিতে হইয়াছে।

 উত্তমচাঁদ প্রথমে ভাবিয়াছিলেন, বোস্ বাবুর পরিচয় তিনি তাঁহার স্ত্রীর নিকটও গোপন করিয়া যাইবেন; কিন্তু বুদ্ধিমতী মহিলা প্রথম হইতেই সন্দেহ করিয়াছিলেন যে, তাঁহার স্বামী তাঁহার নিকট গোপন করিয়া দুটি অপরিচিত পুরুষকে গৃহে আশ্রয় দিয়াছেন। ইহাতে স্ত্রী-সুলভ অভিমানে তাঁহার সমস্ত হৃদয় পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল এবং তিনি তাঁহাদের পরিচয় জানিবার জন্য পীড়াপীড়ি করিতে লাগিলেন। সুতরাং স্ত্রীর পীড়াপীড়িতে অগত্যা উত্তমচাঁদকে প্রকৃত ঘটনা খুলিয়া বলিতে হইল।

 সুভাষচন্দ্রের নাম ও দেশপ্রেমের পরিচয় উক্ত মহিলার অজ্ঞাত ছিল না। তিনি সেই মুহূর্ত্ত হইতে শ্রদ্ধামুগ্ধ হৃদয়ে স্বামীর এই মহৎ কাজে তাঁহাকে সাহায্যই করিতে লাগিলেন। সত্য বলিতে কি, উক্ত মহিলার সাহায্য না পাইলে, সুভাষচন্দ্রের গোপনে অবস্থিতি তৎকালে অসম্ভব হইয়া পড়িত।!

 এই মহাপুরুষকে আত্মগোপনের সম্পূর্ণ সুযোগ দান সম্পর্কে বুদ্ধিমতী মহিলা এত বেশী সতর্ক ছিলেন যে, সুভাষচন্দ্রের কখনও কাশি উঠলেও পাছে অপর কেহ তাহা শুনিতে পায় এই আশঙ্কায়, তিনি অন্য কোন গোলমালের সৃষ্টি করিয়া অপরকে বিভ্রান্ত করিবার প্রয়াস পাইয়াছেন!

 কাবুলে অবস্থানকালে সুভাষচন্দ্রের অনুরোধে ভগৎরাম প্রথমে রাশিয়ার দূতের সঙ্গে কথাবার্ত্তা চালাইবার চেষ্টা করেন। কারণ, সুভাষচন্দ্রের অভিপ্রায় ছিল, তিনি মস্কৌ