পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নেতাজী সুভাষচন্দ্র
১২৫

ব্রহ্মদেশ ত্যাগ করিয়া যাইতেছি। ইম্ফল ও ব্রহ্মদেশে আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামের প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হইছে; কিন্তু উহা প্রথম চেষ্টাই মাত্র। আমাদিগকে আরও বৃহু চেষ্টা করিতে হইবে। আমি চির-আশাবাদী। কোন অবস্থাতেই আমি পরাজয় মানিয়া লইব না। ইম্ফলের সমতলভূমিতে, আরাকানের অরণ্য-অঞ্চলে, ব্রহ্মদেশের তৈলখনি ও অন্যান্য অংশে শত্রুদের বিরুদ্ধে বীরত্বের কাহিনী আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাসে চিরকাল লিখিত থাকিবে।

ইনক্লাব জিন্দাবাদ্‌! অজাদ-হিন্দ জিন্দাবাদ! জয় হিন্দ!

২১শে এপ্রিল,
১৯৪৫ সাল

(স্বাঃ) সুভাষচন্দ্র বসু
আজাদ-হিন্দ ফৌজের সর্ব্বাধিনায়ক

 শ্রীযুক্ত সুভাষচন্দ্র ও তাঁহার অস্থায়ী গভর্ণমেণ্ট ১৯২৫ সালের ২৪শে এপ্রিল রেঙ্গুণ ত্যাগ করা আসেন; কিন্তু ভারতীয়গণের ধন-প্রাণ রক্ষার জন্য মেজর-জেনারেল লোকনাথনের অধিনায়কত্বে ছয় হাজার আজাদ-হিন্দ ফৌজেয় সৈন্য রাখিয়া এবং সঙ্ঘের সহকারী সভাপতি শ্রীযুক্ত জে. এন. ভাদুড়ীর উপর সঙ্ঘের সকল দায়িত্বভার অর্পণ করিয়া চলিয়া আসা হইয়াছিল।

 রেঙ্গুণ ত্যাগের পূর্ব্বেই স্বাধীন-ভারত অস্থায়ী গভর্ণমেণ্টের দেনা-পাওনা পরিশোধ করা হইয়াছিল। জাপানীদের