পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২৬
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

পশ্চাদপসরণ ও ব্রিটিশ-কর্ত্তৃক পুনরধিকারের সুদীর্ঘ সময়ের মধ্যে রেঙ্গুণে একটিও রাহাজানি বা অন্য কোনরূপ বিশৃঙ্খল অরাজক অবস্থা ঘটে নাই।

 ১৯৭৪ সালের এপ্রিলে রেঙ্গুণে আজাদ-হিন্দ ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। ১৯৪৫ লশের মে মাস পর্য্যন্ত এই ব্যাঙ্ক বাবতীয় কাজ-কর্ম্ম চালাইতেছিল। ১৯শে মে ব্রিটিশ সামরিক কর্ত্তৃপক্ষ উহা (আজাদ-হিন্দ ন্যাশন্যাল ব্যাঙ্ক) অধিকার করিয়া বসে। ফিল্ড-সিকিউরিটি সার্ভিসের কর্ত্তৃপক্ষ ২৮শে মে শ্রীযুক্ত ভাদুড়ীকে গ্রেপ্তার করেন এবং তখন হইতে আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘের কার্য্য-কলাপ বন্ধ হইয়া যায়। তখন হইতেই আজাদ-হিন্দ সঙ্ঘের কর্ম্মিগণ ও তাঁহাদের সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে দলে-দলে গ্রেপ্তার করা হইতে লাগিল।

 বর্ত্তমানে আজাদ-হিন্দ গভর্ণমেণ্ট বিলুপ্ত হইয়াছে এবং জাপানের আত্মসমর্পণের ফলে আজাদ-হিন্দ ফৌজকেও আত্মসমর্পণ করিতে হইয়াছে। আজাদ-হিন্দ ফৌজের অনেককেই ভারতে আনিয়া মুক্তিদান করা হইয়াছে। তাঁহাদের কয়েকজনের বিচার হইতেছে, কাহারও বা বিচার-পর্ব্ব সমাপ্ত হইয়া গিয়াছে।

 ১৯৪৫ সালের ৫ই নভেম্বর আজাদ-হিন্দ ফৌজের প্রথম তিন জনের বিচার আরম্ভ হয়। ক্যাপ্টেন শা নওয়াজ, ক্যাপ্টেন পি. কে. সাইগল ও ক্যাপ্টেন গুরুবক্স সিং ধীলনের বিরুদ্ধে যথারীতি চার্জ্জসিট দাখিল করা হইল এবং অবশেষে