পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তিন

কর্ম্ম-জীবন

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের সাহচর্য্য

আই. সি. এস্. পদত্যাগ—ভারতে প্রত্যাবর্ত্তন—অসহযোগ-আন্দোলন—কলিকাতায় হরতাল—গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ড—বন্যা-পীড়িতদের সেবা—কংগ্রেসের গয়া-অধিবেশনে—‘বাংলার কথা’ ও ‘ফরওয়ার্ড’—কলিকাতা কর্পোরেশনে—অর্ডিন্যান্সে গ্রেপ্তার—মান্দালয়ে নির্ব্বাসন—দেশবন্ধুর মৃত্যু—মুক্তিলাভ।

১৯২০ খৃষ্টাব্দে ভারতীয় জাতীয় মহাসমিতির নাগপুর-অধিবেশনে অসহযোগ-আন্দোলনের প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং সমগ্র ভারতবর্ষ মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে সেই আন্দোলনে ঝাঁপাইয়া পড়ে। হিমালয় হইতে কন্যাকুমারী এবং চট্টগ্রাম হইতে গুজরাট পর্য্যন্ত অসহযোগ আন্দোলনের হোমানলে আত্মাহুতি প্রদানে ব্যাকুল হইয়া উঠিল।

 এই আন্দোলনের বিরাট্ তরঙ্গ সুদূর সাগর-পারে ইংলণ্ডে অবস্থিত সুভাষচন্দ্রের চিত্ত-বীণায়ও আঘাত করিল। নবীন সঙ্কল্প, নবীন উৎসাহ, নবীন আশার বাণী তাঁহার অন্তরলোকে নবারুণ-রাগে ফুটিয়া উঠিল। সঙ্গে-সঙ্গে তিনিও অসহযোগ-আন্দোলনের হোমানলে আত্মাহুতি দিতে কৃতসঙ্কল্প