পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
নেতাজী সুভাষচন্দ্র

অফিসার নিযুক্ত হইলেন। এই পদের সাধারণ বেতন মাসিক ৩০০০৲ টাকা, কিন্তু সুভাষচন্দ্র অর্দ্ধেক বেতন মাত্র গ্রহণ করতেন।

 দেশবন্ধুর শত্রুরা এই সময় কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে সমালোচনা করিতে আরম্ভ করিলে, দেশবন্ধু অগাধ বিশ্বাসের সহিত বলিয়াছিলেন—

 “সব কাজ লোকসান করে সুভাষকে দিয়েছি, একটু সময় দিন; সবই হবে।” —দেশবন্ধু-স্মৃতি, পৃঃ ৩৫১

 সুভাষচন্দ্রকে দেশবন্ধু যে কতটা বিশ্বাস ও স্নেহ করিতেন, এই সামান্য একটি কথায়ই তাহা স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়। যাহা হউক, দেশবন্ধু ও সুভাষচন্দ্রের সহযোগিতায় কর্পোরেশনে এক নূতন জীবনের সঞ্চার হইল। যে কর্পোরেশন এতকাল পাশ্চাত্য ভাবধারায় লালিত-পালিত হইতেছিল, সহসা তাহাতে জাতীয় ভাবধারা অনুপ্রবিষ্ট হইল। কর্পোরেশনের কর্ম্মচারী ও সভ্যগণ সুচিক্কণ বিদেশী সাজসজ্জা পরিত্যাগ করিয়া অমসৃণ খদ্দরে দেহ শোভিত করিয়া অফিসে আসিতে লাগিলেন। উৎকৃষ্ট বিদেশী পোষাকের অপেক্ষা খদ্দরের সম্মান এই সর্ব্বপ্রথম পৌরসভায় স্বীকৃত হইল।

 এতদ্ব্যতীত জনসাধারণের কল্যাণের দিকেও সুভাষচন্দ্রের মনোযোগ নিতান্ত কম ছিল না! সুভাষচন্দ্র কর্পোরেশনের প্রধান কর্ম্মকর্ত্তা হইয়াই নাগরিকদিগকে বিনা খরচে প্রাথমিক শিক্ষা ও ঔষধ-পথ্য পাইবার সুযোগ দান করিলেন। হয়তো তাহাদিগকে আরও অনেক সুবিধাই দেওয়া হইত, কিন্তু