পাতা:নেতাজী সুভাষ চন্দ্র - হেমেন্দ্রবিজয় সেন.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চারি

অন্তর্দ্ধান

অন্তর্দ্ধান—নানা জনরব—সুভাষচন্দ্রের রেডিয়ো-বার্ত্তা—অন্তর্দ্ধানের কারণ—সুভাষচন্দ্রের স্বপ্ন—মহাজাতি-সদনের ইতিহাস—সাময়িক আকর্ষণ—অন্তর্দ্ধানের সর্ব্বপ্রথম বিশ্বাসযোগ্য বিবরণ।

১৯৪১ সালের ২৬শে জানুয়ারী।—

 ২৬শে জানুয়ারী প্রতি বৎসরই ‘স্বাধীনতা দিবস’ নামে কীর্ত্তিত হইয়া আসিতেছে; সুতরাং সেদিনও ছিল জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্মরণীয় দিন; কিন্তু সেই স্মরণীয় দিনে সহসা এক বিস্ময়কর সংবাদে সকলেই চমকিত হইয়া উঠিল—সকলেই শুনিল, সুভাষচন্দ্র তাঁহার গৃহে নাই।

 কোথায় সুভাষচন্দ্র? এল্‌গিন্ রোড়ের সমস্ত প্রবেশ-পথ, আশে-পাশে চতুর্দ্দিক, সবই যে গোয়েন্দা-বিভাগের নখদর্পণে! সুভাষচন্দ্র জেলখানা হইতে মুক্তিলাভ করিয়া গৃহেই আসিয়াছিলেন বটে, কিন্তু সে তো সম্পূর্ণভাবে মুক্তি নহে! সরকারী অনুগ্রহে তিনি জেলখানায় আবদ্ধ না থাকিয়া, তখন কার্য্যতঃ গৃহে অবরুদ্ধ ছিলেন মাত্র! সুতরাং সি. আই. ডি. বিভাগের গোয়েন্দাগণ তখনও তাঁহাকে সুতীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চোখেচোখে রাখিয়াছিল। হিংস্র শিকারী কুকুরের ন্যায় তীক্ষ্ণদৃষ্টি গোয়েন্দাদের সদা-সতর্ক চক্ষুকে ফাঁকি দিয়া, অসুস্থ সুভাষচন্দ্র