পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার ভেতরটাও বদলে গেছে, সন্দেহ নেই। এ তো সেই বকুলের কথা বলবার ধরণ নয় ! বিনয় অবাক হয়েই থাকে । ६ दल ना विनक्षता, भामिक्षछ ? এবার বিনয় মাখ খোলে। ঃ কি বলছি বকুল ? এ বেশে তোমায় মানায় ! ঃ দ’বছর আগে আমায় কি বলে ডাকতে, তাও ভুলে গেছ নাকি বিনয়ন্দা ? ওই থেকে একেবারে তামি । বকুলের এমন সহজ কথাবাত শনে বিনয় আরও বেশি আশ্চযা হয়ে যায়। তার কণ্ঠস্বর শনে মনে হয় এত বড় একটা দভাগ্য তার মনে যেন এতটুকু ছায়াপাত করতে পারে নি। দিবি শান্ত নিবিীকার ভাব, যেন কিছই ঘটেনি। বকুল বোধহয় তার মনের ভাব বাকতে পারে, বলে-কি ভাবিছ বলব ? ভাবিছ মেয়েটা তো বেশ! বিধবা হয়েও এতটুকু দঃখ নেই। কি করব বলো, প্রথম ক'দিন কে’দে কোদে চোখ ফুলিয়েছি । শেষে ভেবে দেখলাম, তাতে লাভ ? মা’র কান্না আরও বেড়ে যায়, বাবা ছাটে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান । কে’দে তো লাভ নেই, কিন্তু আমি কি করে বেচে, थाकद दिशा ? শেষটুকু বলবার সঙ্গে সঙ্গে তার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে তার কোলে মািখ গজে বকুল হ, হ করে কাঁদতে আরম্ভ করে । ঠিক তেমনি ভাবে কাঁদ, অলপ বয়সে এক একদিন বাড়িতে বকুনি খেয়ে এসে যেভাবে কাঁদত। ঠিক ! এই তো স্বাভাবিক ! একটা অস্বাভাবিক বিরুত নিবিকারূত্বের বোঝা মানষি কতক্ষণ বইতে পারে !! তাকে কাঁদতে দেখে বিনয় সাবস্তির নিঃশ্ববাস ফেলে। মাখের কথায় সাস্তবনা দিয়ে তাকে অশান্ত করবার চেষ্টা না করে নীরবে একটা হাত তার মাথায় রাখে । দ্য ফোঁটা জল তারও চোখ দিয়ে ঝরে পড়ে । মা ঘরে আসে। তাদের দিকে চেয়ে কতকক্ষণ স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে চোখে অচল দিয়ে দ্রতপদে চলে যায় { একটু পরে বকুল উঠে দাঁড়ায়, একটিও কথা না বলে বিদায় না নিয়েই সে চলে যায়। বকুল চলে যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে বেদনা ও সহান,ভতির প্রচন্ড উত্তেজনা শান্ত হয়ে আসে। একটা অপর্বে পালকের অন্যভতি যেন দ'হাত দিয়ে কান্নার ছোঁয়াচ লেগে জেগে ওঠা। কান্নাকে বিনয়ের মন থেকে ঠেলে সরিয়ে দিতে থাকে। বকুল যতক্ষণ তার কোলে মাথ গঞ্জৈ কোঁদেছিল, ততক্ষণ তার পরম স্নেহের পাত্রীর বাক-ফাটা দঃখের সপশে তার মধ্যেও যে বেদনাবোধের, দঃখবোধের আলোড়ন জেগে উঠেছিল তার মাঝে সেই সম্পর্শের পলকটুকু তলিয়ে গিয়েছিল। বকুল যখন চলে গেল তখন সেই পালকের অনভ্যাতি তার মনের আনাচে-কানাচে উকি মারতে লাগল। { বকুল নিজে এসে প্রণাম করে অন্যযোগ দিয়ে গিয়েছে। SKD