পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হত না । প্ৰাণ বাঁচানোর উপায়াটা বাতলে দিয়েছিলে বলেই বোধ হয় ওর স্যুইসাইড ঠেকানো গেছে ! কান্ত নিঃশবাস ফেলে বলে, যেখানেই যাক, যাই করােক, আবার ফিরে আসবে। এই বয়সে কেন যে মরে গিয়ে সব কিছু ঝনঝাট এড়িয়ে যাবার ঝোঁক চাপে ! ঃ অন্য পথ খাঁজে পায় না বলে । সেটা কান্তারও জানা ছিল । এমন আগ্রহ ও তৎপরতার সঙ্গে সনীল কান্তার পরামর্শ গ্রহণ করেছিল যে অন্য অবস্থায় ব্যাপারটা একটি হাস্যকরই ঠেকত । কিন্ত কাম্পতার জানা ছিল যে সনীলের বিভ্ৰান্ত মস্তিক্ষেকের উদভ্ৰান্ত কল্পনা । অন্য কোন উপায় খাঁজে পায়নি বলেই দাদাকে অন্ততপক্ষে তার দায় থেকে রেহাই দিতে আর নিজে সমাপত লক্ষজার হাত থেকে রেহাই পেতে একেবারে ইহজগত ছেড়ে চলে যাবার সঙ্কলপি স্থির করেছিল । ওই বিষ সে খেত এবং যথারীতি মরত । কাণতা সহজ লাগসই উপায়টা বাতলে দিতেই সে তাই দ্বিধা করে নি, বিষটা তার হাতে তলে দিয়ে বলেছিল, তাই তো, এটা আমার খেয়াল হয় নি। দাদার বোঝা না বাড়িয়ে কোথাও চলে গেলে সত্যিই তো হাঙ্গামা চুকে যায় ! কাম্পতা মনে মনে রেগে ভেবেছিল, সংসারের হাঙ্গামা যেন এত সহজেই চুকিয়ে দেওয়া R ঃ যেখানেই থাকো, মাঝে মাঝে একটা কাড লিখে আমায় খবর দেবে তো ? ঃ কোথায় আছি, কেমন আছি, এসব খবর দিতে পারব না। কিছ যদি করতে পারি তাহলে খবর দেব । সকলের চোখের সামনে দিয়ে সনীল সকালবেলা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল. ফেউ বাঝাতেও পারে নি যে সে কোন ছোটখাট সাধারণ ব্যাপারে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে धt5 = । হাতে ছিল শািন্ধ, খবরের কাগজে মোড়া একটা পাটলি - সকলে ভেবেছিল সে বোধ হয়। লন্ড্রীতে দেবার জন্য ময়লা জামাকাপড় নিয়ে যাচ্ছে । পিসি জোর গলায় বলেছিল, বাজারটা এনে দিতে হবে।--মাকুল বলছিল। ६ ठान्नछ । 'যাই’ বলে নয়, ‘আসছি’ বলে যথারীতি বিদায় নিয়েই সনীল যেন বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল । পিসির আপসোসের সরটা। তাই দাঁড়ায় ঃ “আসছি' বলে চলে গিয়ে বাছা আমার এল না গো ! নিতান্তই সাধারণ ঘটনা। প্রতি বছর পরীক্ষায় ফল বার হবার পরেই যে কয়েকটি পরিবারে ঘটে থাকে তাও নয়, সারা বছর কলহ বিবাদ অন্যায় অবিচার এবং অতিরুিত্ব শাসনের ফলে মাথা SSR