পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উমা বলে, আমি ভেবেছিলাম কথাটা শনে আমি হেসে ফেলবে । সমীরের বিয়ে হবে, তাও আবার সমিতির সঙ্গে। মা নিজেই আসত। আমি ভাবলাম যে অপমানিত হয়ে গঙ্গায় গিয়ে ঝাঁপ দেবে কি না কে জানে। তার চেয়ে আমিই তোমার সঙ্গে কথাবাত বলে যাই । অনিল দ্বিধা করে না । পরিস্কার স্পষ্ট ভাষায় বলে, সমিতি যদি রাজী থাকে। আমার কোন আপত্তি নেই। ঃ সমীরের কি বিয়ে করা উচিত ? ৪ সেটা সমীর বািকবে । সমীর বাবাবে কি রকম ? ওর কি মাথা ঠিক আছে ? আমার সঙ্গে কি রকম ব্যবহার আরম্ভ করেছে তমি ধারণা করতে পারবে না। ওই তো টং টং করছে শরীর, তার ওপর চাকরি-বাকরি করে না, রেগলার কোন ইনকাম নেই । বিয়ে করলে নিজেও মশকিলে পড়বে, আমাদেরও ঝনঝাট বাড়াবে। এমনিই সামলাতে পারছি না, হিমসিম খেয়ে যাচ্ছি। — মাসের শেষে যে কি অবস্থা হয় । তোমার বোনের দায়টাও ঘাড়ে চাপাতে চাইছ ? ঃ তোমার ঘাড়ে দায় চাপাব কেন ? দায় হবে সমীরের । সমীয় রোজগার করে--- সারাদিন বসে বসে বিড়ি পাকায় । উমা যেন আকাশ থেকে পড়ে । ঃ বিড়ি পাকায় ? ঃ দোকানটা অন্য পাড়ায় - বোধ হয়। ইচেছ করেই দরে দোকান বেছে নিয়েছে।-- জানাজানি হলে তোমরা লক্ষজা পাবে । উমা অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে ধীরে ধীরে বলে, আমরাও তাই ভাবছিলাম-নিজের খরচটা কি করে চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্ত বিড়ি পাকিয়ে কতই আর রোজগার হয় ? বিয়ে করে চালাতে পারবে ? অনিল বলে, ওদের দ'জনকেই সেটা খািব ভাল করে বঝিয়ে দিতে হবে যে কোনরকম অন্যায় আৰদায় চলবে না। বিয়ের সাধ জেগে থাকলে বিয়ে আমরা দিয়ে দেব, কিন্ত চালাতে হবে নিজেদের । না পারলে খোলার ঘরে গিয়ে থাকতে হবে । উমা একটি কঠোর সরেই বলে, যেভাবে হোক বোনটাকে পার করে নিশ্চি”ত হতে চাইছ বঝি ? অনিল রাগ করে না । বলে, আমার দিকের হিসাব করছি না । ইচ্ছা অনিচ্ছাটা বোনের । চোখের সামনে দেখে আসছি তো সব ব্যাপার! সমিকে কাঁদিয়ে ওর অনিচ্ছায় চাকুরে ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেব, দ’দিন বাদে ছাঁটাই হয়ে বেকার হবে। বিড়ি বানাক আর যাই করােক সমীর তো রোজগার করছে { একটি থেমে যোগ দেয়, তাছাড়া সমীরের তেজ আছে। নইলে আমি রাজী ३5भ की । SR