পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঃ তোমার যে দিদি কলেজে পড়ত ? সে কোথাও চলে গেছে নাকি ? ছেলেটি একটি বিরক্ত হয়ে বলে, বলছি আমার দিদি নেই, আমি সবার বড়, আপনি খালি দিদি দিদি করছেন। আমার মা কলেজে পড়ত, দিদি নয় । শনে উমা চমৎকৃত হয়ে গিয়ে বলে, আচ্ছা, তোমার মাকেই একটি ডাকো দিকি ? একমিনিট বাদে সবিতা এসে বলে, আরে, উমা যে ! কি ব্যাপার ? আয় আয় ভেতরে আয়, খবর সব বল দিকি শনি। তাই নাকি মস্ত চাকরি করছিস শািনলাম ? উমা ভেতরে গিয়ে ছোট বসবার ঘরটিতে দাঁড়িয়ে চারিদিকে তাকিয়ে বলে, বলছি, বলছি, সব বলছি। তাই আগে আমাকে একটা কথা বল। এটা কার বাড়ি ? ASDDB DBD DB S DDDDBDBB DDu DBBB DB DDDD DDD DD DB বছর । ৪ এগার বছর ? স্বামীর ঘর নাকি ? ঃ হ্যা । তই তো একবার এসে দেখে গিয়েছিলি ? উমা বসে বলে, এসেছিলাম। কিন্ত কিছই দেখিনি। আমি জানতাম তই কুমারী, মেয়ে, এটা তোর বাবার বাড়ি, বাপের পয়সায় কলেজে পড়ছিস । আমি সত্যি জানতাম না তোর বিয়ে হয়েছে, বিয়ের পরেও তাই কলেজে পড়ছিস । বিয়ে দেবার জন্যেই লোকে মেয়েদের পড়ায় কিনা, আমি তাই ধারণাও করতে পারিনি। তাই বিয়ের পরেও পড়ছিস । সবিতা বলে, কপালে তখন সিদর দিতাম না-উনিই বারণ করতেন, বলতেন, তা হবে না, কলেজের খরচ যান্দিন দেব, তোমায় কলেজের মেয়ে সেজে থাকতে হবে। একটা ছেলে একটা মেয়ে হয়েছে, তখন তোর সাথে আলাপ । টের পাসনি ? 德 উমা নিঃশ্ববাস ফেলে বলে, টের পেতে চাইলে নিশ্চয় টের পেতাম ! কে কার দিকে তাকায় ! গরীবের মেয়ে, তোর শাড়ি বাউজ দেখে বািক জৰুলে যেত। ভাবতাম তোর বাপে আমার বাপে কত তফাত ! স্বামীর কাছে শাড়ী বাউজ পাস, এটা জানলে অন্তত নিজের বাপের ওপর মনটা অত বিগড়ে যেত না । ছ-সাত বছরের একটা ফলক পরা মেয়ে বলে, চা খানেন মাফীমা ? আমি চা করতে পারি । উমার সপ্রশ্ন দিল্টিপাতের জবাবে সবিতা বলে ইনি মেজো মেয়ে। আরেকটি আছে, তিন বছরের ।

  • কলেজে পড়বার সময় মোট দটি ছিল । ঃ দটি কম হল বঝি ? তোমার তো একটিও ছিল না । ঃ চা দেব মােসীমা ? বাণী আবার জিজ্ঞাসা করে ।

উমা বলে, চা খাব বৈকি ! খিদে পেয়েছে কিনা, খাবার খেয়ে তারপর চা খাৰ কিছু খাবার আনাব ? --আমিই আনতে পারি