পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কায়দায় কথা বলতে অদ্বিতীয়া । ভাসা ভাসা ভাবে এ বিষয়ে ও বিষয়ে প্রাথমিক আলাপ হয়েছিল খানিকক্ষণ, তার মধ্যে এসে গিয়েছিল বাড়িতে ভাড়াটে পোষার বিষম সমস্যার কথা । একটি ছোটখাট কেরাণী পরিবারকে বাড়ির একখানা মাত্র ঘর তারা ভাড়া দেয়। এতটক বাড়িতে ক’খানা মাত্র ঘর, মানষে অনেক । তব উপায় কি ! যে দিনকাল ! জানা চেনা একজনকে একখানা ঘর ভাড়া দিয়েছিল। প’চিশ টকায় কয়েক বছর ठाiी ! সৰ্বামী সন্ত্রী আর একটা বাচ্চাকে ভাড়া দিয়েছিল ঘরাটা । আজ পাঁচটা বাচ্চায় বোঝাই হয়ে গেছে ঘরটা, ছোট বড় জীবন্ত বাচ্চার গদামের মত। একটা ঘরের গদামের বাইরে তাদের এলাকায় ছিটকে ছিটকে এসে সারাদিন ঝনঝাটের সীমা রাখছে না। তারা । অথচ এমনি মশকিলের ব্যাপার তাদের, এমন বিশ্ৰী সব আইন-কানন যে ভাড়াটোটাকে বিদায় দিয়ে সাবস্তি পাবার সাধ্য নেই তাদের । প্রমোদ ঝোপ বঝে কোপ মেরে বেশ কায়দা করেই আসল কথাটা তলেছিল--এত BD DBB BBSDBDuDuk DDB BD DDD DS BB BDBD DBDuDB BuB DY সোজাসাজি । অপবর মা ঘাবড়ে যায়নি । বলেছিল, বেয়াই, ভাড়াটে হল পর, ভাড়াটের বৌ বছর বছর বিয়োয় কি বিয়োয় না। আমার তাতে কি ? ছেলের বেী হল। ঘরের বৌ, সে যদি প্রমোদ এতিবার এসেছে গিয়েছে, তার সঙ্গে কে কেমন আছে তাই নিয়ে দ’একটা কথা বলাবলি করেই আড়ালে সরে গিয়েছে অপবর মা ! আমল দেওয়া দিয়ে থাক, একবার বসতে পর্যন্ত বলেনি। { মকলের অপরাধের বিবরণ শোনার আবেদন নিয়ে আজ তার কাছে হাজির হতেই যেন একেবারে অন্যমানন্য হয়ে গিয়েছে অপবর মা । কািটছিল তরকারি । মস্ত ঝড়ি বোঝাই রকমারি রাশিকত তরকারি { অবস্থা তাদের সবচছল । বাপ-ব্যাটায় মিলিয়ে অপবাদের যা রোজগার তাতে সারা মাস মাছ মাংস অনায়াসেই बgदन्था सब्रा या ! কিন্ত কয়েক পরিষ ধরে কঠোর নিষ্ঠার সঙ্গে তারা নিরামিষ ভোজী { রাশিরুত তরকারি খায়। মাছ মাংসের সবাদ জানে না । হস্ত দস্ত হয়ে উঠে দাঁড়িয়ে ছাটােছটি করে না, ঝনৎ করে ব'টিটা কাৎ করে, হাকুম, করে অপবর দ্বিতীয় পক্ষের কচি বেটীকে দিয়ে কাপোটের আসন অ্যানিয়ে এবার অপবর মা তাকে আদর করে বসতে দেয়, দোকান থেকে মিনিট আনিয়ে রেকাবিতে সাজিয়ে দেয় । dà