পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মকল একেবারে রণরঙ্গিনী মাতি ধারণ করে। ঠিক পাগলিনীর মত করতে থাকে-হঠাৎ যেন বিশ্ৰীীরকম হিন্টিরিয়ার প্রচন্ড আক্ৰমণ ঘটেছে । বিশ্ৰীীরকম চোঁচামেচি শৱ করে, বকলকে গালাগালি আর অভিশাপ দিয়ে সে আর কিছ রাখে না।--তারপর আশি বটি নিয়ে বকলের গলা কাটতে যায়।

  • বিয়ে করার সাধ গেছে ? আয় তোর গলা কেটে ফাঁসি দিয়ে দ’জনেই মিলে মিশে छाला छgएक्लारे ।

বকল বিধবা হয়ে আসার পর থেকে বাড়িতে মাছ আসা বন্ধ ছিল অনেকদিন-- তারপর ধীরে ধীরে শহর হয়েছিল সম্প্ৰতাহে দ'দিন একবেলা পোয়াটেক মাছ আনা । মচে ধরা ছোট ব’টির ভোতা ফালার কোপে গলা কেটে বোনকে মেরে ফেলতে পারত কি না সন্দেহ। তবে তার উন্মত্ততার ভারে ওই ফলার ঘায়েই বকল জখম হত নিশ্চয় ! অনিল বাড়ি না থাকলে সবাই শােধ, গলা ফাটিয়ে চোঁচামেচিই করত-মাকলকে ঠেকাবার জন্য কারো হতে পা উঠিত না, আতঙ্কের পক্ষাঘাতে অবশ হয়ে যেত। এসব অবস্থায় মাথা ঠিক রেখে শক্ত না হলে সবনাশ হয়ে যায় এটা অনিলের জানা ছিল-কিলন্ত রাগও কি তার হয়নি? অন্য কোন উপায় অবশ্য ছিল না । আচমকা বাটি উচিয়ে পাগলিনীর মত এমনভাবে মকবুল ছাঁটেছিল যে উঠে দাঁড়িয়ে তাকে ধরে ঠেকাবার চেষ্টা করলে বিকালের গলায় বাটির কোপ পড়া ঠেকানো যেত না । নিরাপায় হয়েই অগত্যা বসা অবস্থাতেই পা বাড়িয়ে যাযৎসর প্যাঁচ কষে ম্যাকলকে আছড়ে ফেলে দিতে হয় । ব’টিটা ছিটকে যায় বারান্দার অন্য কোণে, মকবুল আছড়ে পড়ে আতুৰ্থনাদ করে ওঁঠে । ছড়ে যাওয়া কনাই, কেটে যাওয়া থাতনি আর ছোঁচা নাকি থেকে রক্ত ঝরতে থাকে মকলের । দহাতে মািখ ঢেকে মেঝেতে উপড়ি হয়ে শয়ে পড়ে বিকল হ হ করে কেন্দে ওঠে । সকলে চোঁচায় । শধ মািখ খোলে না। অনিল । প্রথমে নাক দিয়ে গল গল করে রন্তু পড়া বন্ধ করে আইডিন লাগিয়ে মলম দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা শার করতে গেলে মাকল ঠেকাবার চেষ্টা করলে একটিবার শাধ সে বঞ্জ গজানে ফেটে পড়ে একটা ধমক দেয় । চে'চামেচি কমে যায়। মকৰল গম খেয়ে যায়। বকল গিয়ে বলার আগেই অবশ্য বিনয় ব্যাপার সব শািনতে পায়। ককালের কাছেও আগাগোড়া সব সে আবার শোনে। &፡ኳ፥