অন্য সকলে গম্ভীর মথে চপচাপ থাকে। মকবুলের এই খাপছাড়া কান্ডের তাৎপষ বোঝা মোটেই কঠিন নয় । বকালের বিয়ের খবরটা সে তার বেশিরবাড়িতে নিজেই জানিয়ে দিতে গিয়েছিল কতব্য করা, আর কিছু নয়। তার বোনকে দিয়ে একটা বিশ্রী পাপ করাবার ব্যবস্থা হয়েছে, সেটা ঠেকাবার জন্য একটা চেষ্টা না করলে কি চলে ! একটা দ্বিধা ভয় হয়তো তার ছিল, অনিলের শাসনের ফলে প্রাণের জবালায় সেটােকও জলে পড়ে শেষ হয়ে গিয়েছিল। অনিল বাকলিকে বলে, তোর ভাবনা কিসের ? আমরা কি লকিয়ে কিছু করছি ? বে: আইনী কিছু করছি ? আমরা নিজেরাই তো যথা সময়ে ওদের জানােতাম । বকল কাতরভাবে বলে, আমার কেমন বিশ্রী লািগছে! অনিল তার মনের ভাব বৰ্ব্বতে পারে। তার নিজেরও খাব বিশ্রী লাগে। কিন্ত সে ভাবটা চেপে গিয়ে সে ধীর শাস্ত কণ্ঠে বলে, মাথা ঠান্ডা কর । বাববার চেস্টা কর কেন তোর বিশ্রী লাগছে । বিশ্রী তোর লগত না, অন্য সবাই মিলে বিশ্রী লাগাচ্ছে । বকলের জবাব অনিলকে আশ্চৰ্য্য করে দেয়। বাকল বলে, তা তো জানি । আমার মনের খটকা তো কেটেই গিয়েছে। কিন্ত সবাইকে বাদ দিয়ে কিছ. করা কি ভাল হবে ? অনিল বলে, সবাইকে বাদ দিয়ে ? আমরা যা কিছু করছি সবাইকে নিয়েই করছি। দচারজন হিংসটে বাজে মানষি সব ভাল কাজেই এরকম ফ্যাসাদ বাধাতে চেষ্টা করে। সেইজন্য ভাবনা করতে নেই । কিন্ত অনিল মনে সাবস্তি পায় না । নিজের ঘরে গিয়ে চুপচাপ বসে সে আপন মনে | & ८ ! 褒 বকলের ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে বসে বটে কিন্ত, বার বার উমা এসে তার চিন্তা জগতে উকি দিয়ে যায় । প্রশ্ন জাগে, সংস্কার কি উমারও নেই ? যত বড় বিশ্ববাসঘাতকতাই অজিত করে থাক, রাগ দঃখ অপমানে প্ৰাণটী যতই পড়ে যেতে থাক, ভালবাসার সেই চিরস্তান সংশপ্তকাল্পটি। উমাও অাঁকড়ে ধরে আছে-ভালবাসা নিয়ে অজিতেরা খেলা করতে পারে, হিসাব কষা সস্তা ইয়াকিটা পৌরুষের মস্ত জয় আর বাহাদারি ভাবতে পারে। কিন্ত মেয়েরা ভালবাসলেই ভালই বাসে, তার মধ্যে ফকির কারবার রাখে না ! কলেজে পড়া পাকা-পোষ্ট্র চালাক চতর মেয়ে উমা, সে কি আর জানে না ষে অবস্থার চাপে পড়ে অযথা আরাম বিলাস সখি সর্বাচ্ছন্দ্যের লোভে অনেক মেয়ে ভােলবাসার ভানও করে, পরিষের কাছে ধরাও দেয় । কিন্ত সে হল অন্য হিসাব । ভালবাসার হিসাব নয় । অজিতকে সে ভালবেসেছিল, ভালবেসেছিল বলেই বিশ্ৰাবাসও করেছিল। ar
