পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঃ সত্যি কথাই বলছি। এমনি মরে গেছে - তারপর আর কথা নেই। আমি বললেই ওকে খােন করে আমি ফাঁসি যেতাম । কাম্পতা রেগে যায় । কিন্ত নিচু গলাতেই বলে, ছি, এসব ছেলেমানষৌকথা কি তোমার মাখে শোভা পায় ? তোমায় খবরটা জেনে আসতে বলেই বোধহয় ভুল করেছি। থাকগে, কােজ নেই। অনিল শাস্ত সরে বলে, খবর জেনে আসতে যাবার দরকার হবে না। আমি খবর জানি। আমার একজন বন্ধ ওকে পোড়াতে গেছে । আমায় ডেকেছিল-আমি রাজী হইনি ! কাম্পতা বলে, ও ! শীত কেটে যায় । তারপর একদিন ছটির দিনে কাম্পতা নিজেই অনিলের কাছে যায় । অনিলের কাছে যাওয়ার আগে অনেকদিন পরে আজ কান্ত সাধারণ প্রসাধনটা একটু যত্ন নিয়ে সায়ে । সাধারণ ভাল শাড়ীটা একটু ভালভাবে পরে। অনিলের নাগাল ধরে বলে, চল না সিনেমায় যাই দ’জনে মিলে ? অনিল যেন আকাশ থেকে পড়ে । ঃ সিনেমায় ? দ’জনে ? ঃ বা ঃ ! এই সেদিন না। দ’জনে সিনেমায় যাওয়ার কথা বলেছিলে ? যাব না বলতে মাখখােনা এতটুক হয়ে গেল ? ন্যায়সঙ্গতভাবে তার প্রাপ্য ভালবাসা কাম্পত্য বরাবর অস্বীকার করে এসেছে। তার একটা অমানষি মাতাল সবামী-যার সঙ্গে তার কোন সম্পক নেই, কোনদিন কোনরকম সম্পক গড়ে উঠবার সম্ভাবনাও নেই-সে শােধ জীবিত আছে। এই গ্ৰাম্য কসংস্কারের খাতিরে { চিরদিনের জন্য পথিক হয়ে গিয়েছিল তাদের জীবন-কশল জিজ্ঞাসা করে একখানা চিঠি লেখার বালাই পযন্ত ছিল না । অঘোর ওদিকে মদ মেয়েমানষে রেসখেলা জায়াখেলায় মেতে ফুর্তি করছে। --তারই খাতিরে কান্তার মত একেলে শিক্ষিতা মেয়ে কঠোর নিম্ঠার সঙ্গে ভালবাসার আনন্দবেদনা বজন করে এসেছে । এজন্য কাম্পতার উপর যতই রাগ হোক--তার উপর সে ষে বিন্দমাত্র বিরাগ বোধ করে না, এটা দেখাতে কতবার অনিল যে যেচে যেচে তার কাছে গিয়েছে নানা ছাতোয়, তার সঙ্গে ভাবি জমাবার চেষ্টা করেছে নানাভাবে । ভাল লাগা একটি মেয়ের সঙ্গে ভদ্রভাবে মিলেমিশে, দীঘ দিন ধরে পরস্পরকে জানাবোঝার ঘনিষ্ঠতা গড়ে তলে নিজের মধ্যে মেয়েটির জন্য আর মেয়েটির মধ্যে নিজের জন্য ভালবাসা জন্মাবার যে সভ্য ও স্বীকৃত প্ৰথা আছে, সেই নিয়মে { ԳS