পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিনয় বলে, ব্যাপারটা তমি বিকলে না ! বাড়ির লোকের সঙ্গে মানিয়ে চলতে অনিলের যে কি দগতি ! নিজের কান্না সামলাতে ও কি আরও দাসে পালিয়েছে ? ষতই সংস্কার কেটে গিয়ে থাক, বোনের বেশ দেখে নিজেরও একটা কান্না তো পাবেই । আদরে বোনটার এ দশা হল।--বোনটার জন্যে নিজের মতে কিছ, যে করবে। সে উপায় পয’ত নেই,-বাড়িতে ওর মতের দাম কানাকড়ি। ওর কাছে আর অসহ্য ঠেকবে না বাড়ির লোকের এ রকম হৈ-হলোড় কাঁদাকাটা, তোমাদের বাড়ি পর্যন্ত যা শোনা যায় ? অনেকক্ষণ কাণতা চুপ করে থাকে । বকুলদের বাড়ি, ঝিমিয়ে আসা কাষার অ্যাওয়াজটাই বোধহয় শোনে । তার চোখ সজল হয়ে এসেছে দেখে বিনয় এতটকু আশ্চর্য হয় না । ঃ একটা কথা জিজ্ঞাসা করব, রাগ করবেন না ? ঃ এভাবে কোন মানষেকে আগে বেধে শত করে কথা বলে না। { রাগ হলে নিশ্চয় রাগ করব ! বিনয় হাসতে গিয়ে সামলে নেয় । কানের কাছেই বকুলদের বাড়ির কান্নার আওয়াজ <ाśछ । সোজােসজি সে জিজ্ঞাসা করে, অনিলকে সত্যি সত্যি হারিয়ে তমি বরাবর ফাস্ট হচেছা ? না, তোমার জন্য অনিলের কোন কারসাজি আছে। এর মধ্যে ? লাল হয়ে যায় ক’তার মািখ । ঃ অনিলকেই জিজ্ঞাস কল্পো ৷ বকুলদের বাড়ি যেতে মন চায় না বিনয়ের । অনিলের সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয় । তার ভাব অবশ্য শান্ত, কেবল মািখখানা একটি বিষম ও গম্ভীর । কিন্ত খাড়ির অন্য সকলে ? কে জানে গিয়ে কি অবস্থায় দেখবে সকলকে আর বকুলকে । বকুলের মা হয়তো খাটে শয়ে দেওয়ালের দিকে মািখ করে নিঃশব্দে আশ্রবষণ করছে ; বকুলের বাবা হয়তো একটা চেয়ারে বসে অর্থশ্যান্য দটিতে সক্ষম খের দেওয়ালের দিকে চেয়ে আছে । আর বকুল মতিমতী বিষাদের মত অশ্রশান্য অপলিক নয়নে নিজের অদস্টের এই সতীব্র পরিহাসের কথাটাই ভাবছে। কি হবে গিয়ে ? যাক ক’দিন । বকুল আসবার তিন দিন পরে তাকে বিনয় দেখল । সকালবেলা বই খালে বকুলের কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে কাস্তিার কথা মনে জেগেছিল। সে টেরও পায়নি। যে আঘাত বকুলের জীবন শান্য নিরর্থক করে দিয়েছে সেও তো সেই আঘাতই পেয়েছে। সদীঘ জীবনে ক্ষণিকের মিলনের আশা-পশিলেশহীন প্রিয় বিরুহের যে বেদনা সে তো তারও ভাগ্যলিপি ! কান্ত বা অনিল তাকে কিছই বলে নি কিন্তু স্কুল থেকে কলেজ পর্যন্ত দীঘদিন দ’জনের মধ্যে প্রীতির খেলার প্রতিযোগিতা যে ব্যাপারটা সে লক্ষ্য করে এসেছে, অনিল অনায়াসে এগিয়ে যেতে পারলেও সে বরাবর ইচ্ছা করে নিজে একটি পিছিয়ে