পাতা:পরাধীন প্রেম - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনিল নিবিকারের মত বলে, প্রাণের সাধটা মিটিয়ে মরছি এ সাম্ৰনাটা থাকবে । মারার আগে জেনে যাব ভালবাসা টি.বি-কেও গ্রাহ্য করে না । কান্তা রাগে বলে, টি.বি. হলেই মানষি মরে নাকি ? কোন শাস্ত্রে লেখা আছে । আমায় কথা দাও বাঁচার চেণ্টা করবে, আমি তোমার বিয়ে করা বৌয়ের চেয়েও ওবিডিয়েন্ট হয়ে থাকব । উঠে গিয়ে দরজাটা সে বন্ধ করে দিয়ে আসে। অনিলের কোলে মাথা গজে বলে, আমি তোমার হলাম। যখন চাইবে তখনি পাবে। কোন দায় নেই, কোন দায়িত্ব নেই। আমায় শােধ কথা দাও যে কঠিন রোগ হয়েছে বলেই মরণকে তমি মানবে না, রোগ সরিয়ে বাঁচবার জন্য প্রাণ দিয়ে চেণ্টা করবে ।

  • আমার মাখের কথাই মানবে তমি ? ঃ মানব । মাখের কথা তাঁচছ করার সাধ্য তোমার নেই। কেন জানো ? আমি বিশ্ববাস করি না তমি মরার কথা ভাবিছ । বাঁচার জন্যই তামি লড়াই শার করছি।

সালাজ হাসির সঙ্গে যোগ দেয়, বাঁচার জন্য বিষম। লড়াই চালাতে হবে, প্ৰাণে আনন্দ চাই, হতাশা জাগলে কাটিয়ে দেবার মত মানষি চাই, সেইজন্য আমাকে দরকার পড়েছে, না ? বেশ তো, বাঁচার লড়াই চালাও, যখন চাও আমায় পাবে । আমার কি হবে, লোকে আমার কত নিন্দে করবে- ওসব হিসেব তমিও ধরবে না, আমিও * 2 ! অনিল একটু সংশয়ের সঙ্গেই জিজ্ঞাসা করে, আমার বাঁচার লড়াইয়ের সব হিসাব १५७ g°gछ् ? কান্তা সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেয়, পেরেছি বৈকি। তোমার মাশকিল কোথায় জানি না ? শাধ নিজের রোগের সঙ্গেই তো তোমার লড়াই নয়- দশটা মানষেকে বাঁচিয়ে রাখার 8 NA ঃ সে দায় খশি হলেই এড়িয়ে যেতে পারি । মা বোন ভাইদের বাঁচানোর দায় মানতেই হবে এমন কোন আইন নেই । ঃ আইন নেই। কিন্ত দায় আছে । একটা দায় নিয়ে সেটা নিজের রোগের খাতিরে এড়িয়ে যেতে পার না বলেই তো তোমায় এত বিশ্ববাস করি । আমি জানি, রোগ সারাবার জন্যও তুমি সকলকে ভাসিয়ে দেবার কথা ভাবতে পারবে না । সত্যই তো, আরও ঢের কম চেষ্টায় নিজের রোগ সারিয়ে নিজেকে বাঁচাতে পারত - যদি সে না হিসাব কাষতে বসত অন্যদের বাঁচন মরণের প্রশ্নটা । ষেদিন খাঁশি বাড়িটা বেচে দেবার অধিকার তার আইন-সম্মত ; বাড়ির লোকের কোদল আর কদাকাটি করার বেশি কিছুই করার অধিকার কোনদিন ছিল না । বাড়ি বেচে বারো চৌদ্দ হাজার টাকা পাওয়া যেত । সকলকে ফেলে কোন সথাস্থ্য-নিবাসে চলে গিয়ে অসংখটাকে জয় করা যেত । SOO