স্ত্রীলোকের প্রমুখাৎ এই কথা শুনিবামাত্র কাজি সাহেব লোক পাঠাইয়া তখনই সেই পুরুষটীকে ধরিয়া আনিলেন। ভীতান্তঃকরণে কাঁপিতে কাঁপিতে সে আসিয়া কাজি সাহেবের সম্মুখে দণ্ডায়মান হইল।
কাজি। তুমি জোর করিয়া এই স্ত্রীলোকের ধর্ম্মনষ্ট করিয়াছ কেন?
পুরুষ। দোহাই ধর্ম্মাবতার! এরূপ কর্ম্ম আমি কখনই করি নাই। আমার সহিত পূর্ব্ব হইতে ইহার মনোবিবাদ আছে, তাই এ মিথ্যা করিয়া এই নালিশ করিয়াছে।
কাজি। স্ত্রীলোক কখন মিথ্যা কথা কহে না, তুমিই মিথ্যা কথা কহিতেছ। আমার বিশ্বাস যে, তুমি উহার ধর্ম্মনষ্ট করিয়াছ। আমি তোমাকে দশ টাকা জরিমানা করিলাম, সেই টাকা এই স্ত্রীলোকটী পাইবে।
কাজি সাহেবের আদেশ শুনিয়া, সে আর কোন কথা কহিতে পারিল না। সেও নিতান্ত দরিদ্র ছিল, তথাপি বহুকষ্টে দশ টাকা সংগ্রহ করিয়া কাজি সাহেবের হস্তে প্রদান করিল। কাজি সাহেব সেই টাকা দশটী সেই স্ত্রীলোকটীর হস্তে প্রদান করিয়া কহিলেন, “যাও, এই টাকা লইয়া তুমি আপন গৃহে প্রস্থান কর।”
টাকা কয়েকটী হস্তে লইয়া স্ত্রীলোকটী বিশেষ রূপ আনন্দিত হইল, ও কাজি সাহেবকে সেলাম করিয়া সেই স্থান হইতে প্রস্থান করিল।
সেই স্ত্রীলোকটী কিয়দ্দূর চলিয়া গেলে পর, সেই পুরুষকে কাজি সাহেব পুনরায় ডাকাইলেন ও কহিলেন, “যে