পাতা:পাষাণের কথা.djvu/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পাষাণের কথা

হইয়াছে; কয়েকজন ভিক্ষু বেষ্টনীর মধ্যে অর্থাপহরণ করায় মহাপ্রতীহার কর্ত্তৃক শৃঙ্খলাবদ্ধ হইয়াছে; কয়েকজন ভিক্ষু, শক্তি ও শিষ্য বিপণী হইতে বিনামূল্যে দ্রব্য গ্রহণ করায় মহাপ্রতীহার কর্ত্তৃক চৌর্য্যাপরাধে অভিযুক্ত হইয়াছে। ইহাদিগকে নগরে প্রেরণ করিতে হইবে ও দণ্ডপাশিক ও দণ্ডনায়কগণ কর্ত্তৃক ইহাদিগের বিচার হইবে। কতকগুলি মহিলা সঙ্ঘ পরিত্যাগ করিয়া নাগরিকগণের আশ্রয় গ্রহণ করায় তাহাদিগের অধিকারী বোধিসত্ত্ব ও বুদ্ধগণ মহাপ্রতীহারের নিকট বিচার প্রার্থনা করিয়াছেন। রজনীর দ্বিতীয় প্রহর অতীত হইলে বেষ্টনী জনশূন্য হইল, তখনও আসব বিক্রেতাদল পণ্যশালা বন্ধ করে নাই, ভিক্ষুগণ মধুর সাহায্যে নির্ব্বাণের অর্দ্ধপথ অতিক্রম করিয়াছেন; চলচ্ছক্তিহীন স্ত্রী ও পুরুষগণকে রক্ষিদল বহন করিয়া লইয়া যাইতেছে, কাহাকেও বা নাগরিকগণ পদাঘাত করিতেছে। রজনীর তৃতীয় প্রহর অতীত হইলে দীপসমূহ নির্ব্বাপিত হইল। তখন রক্ষিদল ব্যতীত অপর সকলে স্তূপসান্নিধ্য পরিত্যাগ করিয়াছে। প্রত্যূষে সম্রাট ও যুবরাজ, অতি অল্পসংখ্যক অনুচর লইয়া, শিবির পরিত্যাগ করিলেন। উৎসব শেষ হইল।


১৪৬