পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yo (৪) “ট’ ও ‘ঠ' স্থানে ‘ড' ; যথা, ‘ছোট’ স্থলে 'ছুডু', ‘কাঠি’ স্থলে ‘কাডি’, ‘পােঠা” স্থলে “পাডা’। (৫) “চ’ স্থলে "ড" ; যথা, ‘ঢোল’ স্থলে “ভুল” । (७) 'न' श्ल ‘ल' ; यथा, 'नाज़ा' श्ल 'गिद्ध' । (৭) পূর্ববঙ্গীয় ভাষায় ‘সি’ ও ‘শ'-কে প্রায়ই ‘হ’-তে পরিবৰ্ত্তিত হইতে দেখা যায়। ইহার উদাহরণ এত বেশী যে অধিক দিবার প্রয়োজন নাই। “সেই’ স্থলে “হেই’, ‘সেওলা’ স্থলে “হেওলা’, ‘সাজি’ স্থলে “হাজি', ‘শালা’ স্থলে ‘হালা’, ‘শুধু স্থলে ‘হুদু’, ‘শত’ স্থলে *ठूऊ' &ziशू३ °N3शू। // যায়। ‘শত’ স্থানে ‘হাত’ প্রয়োগের একটি রহস্যজনক গল্প আছে। একটি ংস্কৃত শ্লোক পশ্চিমবাসী দিগকে পূর্ববঙ্গের পণ্ডিতদের নিকট আশীৰ্বাদ গ্ৰহণ করিতে নিষেধ করিয়াছে ; কারণ আশীৰ্ব্ববাদ-কালীন ‘শতায়ত্ত্বং ভবিষ্যসি’ স্থলে পূর্ববঙ্গীয় পণ্ডিত বলিবেন, ‘হত্যায়ুত্ত্বং ভবিষ্যসি”—অর্থ দাড়াইবে বিপরীত । (৮) কয়েক স্থলে আবার ‘হ’-এর পরিবর্তে “স’-এর ব্যবহার দেখা যায় ; যথা, ‘হেন কালে’ স্থানে ‘সেন কালে’, ‘হাতী’ স্থানে ‘जांडि' । অনেক স্থলে প্ৰায় অকারণেই কোন কোন শব্দে একটি অতিরিক্ত স্বরবর্ণ যুক্ত হইয়া থাকে ; যথা, ‘কন্যা’ স্থলে 'কৈন্যা’, ‘বক্ষ’ স্থলে ‘বৈক্ষ’, ‘লক্ষ্য’ স্থলে 'লৈক্ষ্য’, ‘সন্ধান” স্থলে সৈন্ধান’, ‘অঞ্চল’ স্থলে “ঐঞ্চল’। এখানে “ঐ’-এর ব্যবহার অকারণ। আবার এইরূপ ভাবেই অনেক স্থলে 'উ' স্বরবর্ণটিকে শব্দমধ্যে প্রবিষ্ট করাইয়া দেওয়া হয় ; যথা, ‘রাখাল’ স্থলে “রাউখাল’ । ‘কবর’ স্থলে “কয়বার” কথায় এইরূপে ‘য়’টি প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণের মধ্যে প্ৰবেশলাভ করিয়াছে। কখনো কখনো কোন কোন বর্ণের লোপ হয় ; যথা, “মহাজন' স্থলে “মাজন” ; এ ক্ষেত্রে কেবল “হ’টি লুপ্ত হইয়াছে এবং ‘আ’কার ‘ম’কারের সঙ্গে भूख হইয়াছে। ‘মোড়ল” স্থানে ‘মড়ল’ হওয়ায় ‘ও’কার লুপ্ত হইয়াছে এবং “স্থান’ শব্দের পরিবর্তে “থান’, ‘স্তান’-এর পরিবৰ্ত্তে “তন’ হওয়ায় ‘সি’কারের লোপ পরিলক্ষিত হয় ।