পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AV পূর্ববঙ্গ গীতিকা চাহেন, ভগবান তাঁহার কামনা অতৃপ্ত রাখেন না। এই সময় তিনি শুনিতে পাইলেন রাঙ্গুনিয়া থানার অধীন পােমরা গ্রামে এক বৃদ্ধ মুসলমান গায়ক পালাগানটির সন্ধান জানে। শ্রবণমাত্ৰ লাঠি হাকাইয়া পালাসংগ্ৰাহক পোমরা গ্রামাভিমুখে ছুটলেন। এই গায়কের নাম ওমর বৈদ্য। তাহার বয়স সত্তরের উপরে। এই লোকটি একটি অদ্ভুত ব্যক্তি। দন্তচিকিৎসাই তাহার ব্যবসায় । যদিও সে সম্পূর্ণ নিরক্ষর, তাহার মস্তিষ্ক পালাগানের একটি বৃহৎ আড়ৎ। সে এত পালাগান মুখে মুখে বলিয়া যাইতে পারে যে এই অদ্ভুত লোকটির ক্ষমতা দেখিয়া আশুবাবুর বিস্ময়ের শেষ রহিল না। দন্তচিকিৎসা সে একরূপ ছাড়িয়া দিয়াছে। এখন তাহার একমাত্র বন্ধু, মনের কথা বলিবার সামগ্রী এবং সহায় ও সম্পত্তি তাহার সারেঙ্গটি । সে অতি দরিদ্র, জীর্ণ শীর্ণ লতাবেষ্টিত একটি কুঁড়ে ঘরে বাস করে। তাহার ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীর গলায় কতকগুলি কাচের মালা ও হাতে কাচের চুড়ী, কিন্তু সে তাহার সারেঙ্গটির কানগুলি রূপায় বাধাইয়া দিয়াছে। যখন সে গান করিতে থাকে তখন তাহার কণ্ঠস্বর অথবা সারেঙ্গের সুর ইতাদের মধ্যে কোনটি বেশী মিষ্ট তৎসম্বন্ধে সন্দেহ হয়। ভেলুয়ার কষ্ট সে যখন গানে বর্ণনা করে তখন শ্রোতাদের চক্ষু তাম্রশ্ৰণতে ভাসিয়া যায়। সারেঙ্গ যেন করুণ কণ্ঠে এই দেবীর দুঃখে বারংবার আর্তনাদ করিয়া উঠে। কাব্য-নায়ক আমির সওদাগর যখন সারেঙ্গ হস্তে লইয়া কুটিরে কুটিরে সেই যন্ত্রটি বাজাইয়া বেড়াইত এবং তাহা হইতে ক্ৰমাগত সারেঙ্গী-সাধা ভেলুয়া নামটি কঁাদিয়া কঁদিয়া আকাশ-বাতাস পূর্ণ করি ত্র, সেই শোকাবহ চিত্র ওমর বৈদ্য স্বীয় সারেঙ্গ বাজাইয়া যখন গাহিতে থাকে, তখন বোধ হয় এই গায়েনই সেই যৌবনে যোগী আমির সওদাগর ! ওমর বৈদ্য আশুবাবুকে তাহার বাল্য ও যৌবনের ইতিহাস বলিয়াছিল। সে কাহিনী অতি অপূর্ব ও করুণ। শৈশবে তাহার কোকড়ান কোকড়ান। দীর্ঘ চুল গ্রীবা বাহিয়া স্বন্ধের উপর পড়িত এবং তাঙ্গার মুখখানিতে বালিকাব ন্যায় কমনীয়তা ছিল। সে সেই সময় তাহার গুরু ইয়াশিন আলির নিকট পালাগান গাহিতে শিখিয়াছিল। সে নাচিয়া গাহিয়া শ্রোতৃ-মণ্ডলীকে মুগ্ধ করিত। ইয়াশিন डालि डाश्ाक ढाकेश। श्रक्षिाएgद्र 5 क्रेभ। ७ কুকীদিগের নিকট যাইত।