পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ड्रभिक Գ(; অনন্যগতি। মুদ্রাযন্ত্র কর্তৃক এই গানটির বিশেষরূপ প্রচার হওয়াতে আদিত গানটি সুদুল্লাভ হইয়া পড়িয়াছে ; কিন্তু আমাদের অসীম অধ্যবসায়শীল শ্ৰীযুত আশুতোষ চৌধুরী মহাশয় কিছুতেই হটিয়া পড়িবার লোক নহেন। তিনি যেরূপ অক্লান্ত পরিশ্রমে এই পালাটির উদ্ধার করিয়াছেন তজজন্য তিনি আমাদের বিশেষ ধন্যবাদের পাত্র । চাটগায়ের এ. বি. রেলওয়ের পাহাড়তলী ষ্টেশনের নিকট ভেলুয়ার দীঘির ধারে বসিয়া সমস্ত নিকটবৰ্ত্তী ৬ পল্লীগুলির মধ্যে ভেলুয়ার প্রতি প্ৰগাঢ় গ্ৰীতিরসে তাহার মন ভরিয়া উঠিয়াছে ! কত নরনারী তাঁহাকে ভেলুয়ার কাহিনী-সম্বন্ধে অদ্ভুত ও অপূর্ব গল্প শুনাইয়াছে। তিনি তাহাদের নানা কুসংস্কার ও আজগুবি গল্পের উপর আস্থা দৰ্শন করিয়া প্রীত হইয়াছেন, যেহেতু সেই সরল বিশ্বাসের অভ্যন্তরে তাহদের ভেলুয়ার প্রতি ফন্থনদীর মত চিরপ্রবহমান অকৃত্ৰিম ভক্তির ধারা প্ৰবাহিত রহিয়াছে। কোন কোন বৃদ্ধ তাহার নিকট শপথ করিয়া বলিতেন, “হা, মহাশয়, সত্য সত্যই ভেলুয়া ও আমির কোন কোন পূর্ণিমা-রাত্রিতে পরস্পর আলিঙ্গনে বদ্ধ হইয়া এই দীঘির জলে সোন-ডিঙ্গিতে ভাসিয়া বেড়ান, অনেকে তাহা দেখিয়াছে।” আশুবাবু সরল কৃষকদের মুখে এইরূপ নানা উপাখ্যান শুনিয়া পরম প্রীতিলাভ করিতেন । কিন্তু কোথায় আদিত পালাটি পাইবেন সেই ভাবনায় তাহার দিবারাত্ৰ চোখে ঘুম ছিল না। এক পত্রে তিনি আমায় লিখিয়াছেন, “এমনও দিন গিয়াছে যে আমি সারাদিন পল্লীতে পল্লীতে অভুক্ত অবস্থায় ঘুরিয়া বেড়াইয়াছি।” কিন্তু কোন সন্ধান মিলে নাই। অবশেষে পুলিশষ্টেশন রাউজানের অধীন বাগোয়ান গ্রামের জেবল হোসেন নামক একটি লোকের নিকট তিনি পালাগানটির কতকটা অংশ সংগ্ৰহ করিতে পারিয়াছিলেন। ইহার পরে চট্টগ্রাম জেলার লাম্বুর ঘাটের ইসমাইল নামক জনৈক সাম্পানের মাঝির নিকট হইতে আরও কিছু সংগৃহীত হইল। এই আদিত গানের অংশগুলি কবিত্ব ও করুণ রসের উৎস। কিন্তু এগুলি অঞ্জলি অঞ্জলি পান করিয়াও র্তাহার তৃষ্ণ মিটিল না। এই সব ছোট ছোট খাল-বিল র্তাহাকে যে মোহনার আভাস প্ৰকাশ করিল, তিনি যে পৰ্য্যন্ত না তথায় পৌঁছিলেন সে পৰ্যন্ত তৃপ্ত হইতে পারিলেন না। যিনি সমস্ত অন্তরের ব্যগ্রতার সহিত কিছু