পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जूमिका 8) কাহিনীটি বর্ণনা করিয়া গিয়াছে, কিন্তু সেই ভাষা খুঁড়িয়া দেখিলে অন্তঃসলিল ফন্তু নদীর ন্যায় স্বচ্ছ রসের ধারা তাহাতে প্রচুর পরিমাণে সঞ্চিত আছে দেখা যাইবে । মাঝে মাঝে গ্রাম্য কথায় খুব আশ্চৰ্য্য কবিত্ব ফুটিয়া উঠিয়াছে। বনপথে জ্যোৎস্না-রাত্রি বর্ণনা করিতে যাইয়া কবি লিখিয়াছেন, যেন কেহ দুহাতে মুঠি মুঠি বেলফুলের কলি আকাশে ও ভূতলে ছড়াইতেছে। যেখানে সদ্যঃ বিবাহিত কন্যা দোলায় চাপিয়া শ্বশুরবাড়ী যাইতেছেন, সে বর্ণনাটি কোথাও দ্রুত ও কোথাও বিলম্বিত ছন্দে রচিত হইয়াছে, যেন মনে হয় আমরা দোলাবাহকদের পদশবদ শুনিতে পাইতেছি ঃ দোলা যায় যায় রে দোলা আষািটবেরার কঁধে দোলার ভিতর নিয়া বৌয়ে গুরি গুরি কঁদে । মা বাপের মনেতে পড়ে রে আরও ছোট ভাইয়ের মুখ ঝিাঝি পোকার ডাক শুনি কাপি উঠে রে বুক । আগে পাছে বৈরাতি যায় যায় রে ধীরে ধীরে দক্ষিণা হাওয়া পাইয়া দোলার কাপড় উড়ে। ধবধবা জ্যোৎস্নাপাহর দিনের মতন রাইত दiggद्ध कgछ খাপৃদি। রৈয়ে মনসুর ডাকাইত | 并 "" : به.," মনসুর ডাকাইত যে আদেশ প্রতিপালন করিতে প্ৰতিশ্রুত হইয়াছিল, স্বপ্ন-দত্ত সেই আদেশ এই,- সে ডাকাতি বা চুরি করা যদি না ছাড়িতে পারে, তাহা হইলে সেই ব্যবসায় সে চালাইতে পরিবে, কিন্তু প্ৰতিদিন তাহাকে অন্ততঃ পাঁচ বার নামাজ পড়িতেই হইবে । এই আদেশ সে কতকদিন পৰ্য্যন্ত রক্ষা করিয়া আসিয়াছিল। একদিন সে এক বড় ধনীর বাড়ীতে ডাকাতি করিতে গিয়াছে। সিদ্ধ কাটিয়া গৃহে প্ৰবেশ করিয়াছে। পার্শ্বের লোহার সিন্দুক সে লৌহ যন্ত্রের সাহায্যে খুলিয়া ফেলিয়াছে। সম্মুখে তোড়া তোড়া টাকা, বিচিত্ৰ অলঙ্কার ও বহুমূল্য পরিচ্ছদাদি। তাহার অতি নিকটে গৃহস্বামী ও তদীয় স্ত্রী নিদ্ৰিত। দলের লোকেরা গৃহের চারিদিকে প্ৰতীক্ষা করিতেছে। মুহূৰ্ত্তমধ্যে এই বিপুল অর্থ তাহার অধিগত হইবে। এমন সময়ে অদূরে বৃক্ষ হইতে কুড়া পাখী ডাকিয়া জানাইল, ভোর হওয়ার

  • মূল হইতে ভাষা আমরা একটু সহজ করিয়া দিয়াছি।

\9