পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - দ্বিতীয় খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y (V) ভারতবর্ষ। ধনরত্ন লইয়া যান, তদ্দারা তাহার রাজধানী গজনী নগরী সুশোভিত হইয়াছিল। মামুদের মথুৱা আক্রমণের উপর দিয়া পরিবর্তনের অশেষ প্রবাহ প্রবাহিত হয়। আওরঙ্গজেব মথুরার দেবমন্দির-পার্থে মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করেন। আওরঙ্গজেবের দরবার হইতে শিবাজীর পলায়ন-ব্যাপদেশেও মথুরার নাম ইতিহাসে উল্লিখিত। দিল্লী হইতে পলায়ন-কালে শিবাজীর পুত্ৰ শম্বুজী (শম্ভাজী) মথুরার ব্ৰাহ্মণদিগের হস্তে সমৰ্পিত হইয়াছিলেন। মুসলমানদিগের শাসনাবসানে মথুরা ইংরেজ-রাজ্যের অন্তৰ্ভুক্ত হয়। সেই হইতে মথুরার শ্ৰীসম্পদ পুনরায় বৃদ্ধি পাইতে থাকে। মথুরায় এখনও অসংখ্য ভগ্নস্তােপ বিদ্যমান। যমুনার তীরে উত্তর দক্ষিণে এই নগরী কতদূর বিস্তৃত ছিল, সেই সকল ভগ্নস্তুপ তাহার পরিচয়-চিহ্ন বক্ষে ধারণ করিয়া আছে। উত্তরে নবী মসজিদ এবং রাজা কংশের দুর্গ, দক্ষিণে “তিলকংস এবং “তিলস্তৃক’ পৰ্যন্ত মথুরার সীমানা এক সময়ে বিস্তৃত ছিল। দক্ষিণাংশের প্রাচীন নগরী এখন পরিত্যক্ত-প্ৰায়। অধুনা সেই প্ৰাচীন নগরীর উত্তরে এবং নবী মসজিদের পশ্চিমে নূতন নগরী পরিবন্ধিত হইতেছে। বৰ্ত্তমান নগরীর তিন মাইল দক্ষিণে, জেলের সন্নিকটে, একটি প্ৰকাণ্ড স্তুপ দৃষ্ট হয়। খৃষ্ট-জন্মের পূর্বে সেই স্তুপ বৌদ্ধদিগের মঠ ছিল। সুপ-মধ্যপ্রাপ্ত স্তম্ভাদির খােদিত-লিপি এবং প্রস্তর-স্মৃষ্টি প্রভৃতি দৃষ্টি মথুরার ঐ অংশ বৌদ্ধপ্রাদুর্ভাবের সময়ে সমৃদ্ধিসম্পন্ন ছিল বলিয়া বুঝিতে পারা যায়। মথুৱা-প্রদেশের অপর নাম ব্ৰজমণ্ডল। ব্ৰজন্ম ণ্ডলে শ্ৰীকৃষ্ণের বলি-জীবন অতিবাহিত হইয়াছিল, সেই জন্য ব্ৰজমণ্ডল সুপ্ৰসিদ্ধ । যমুনার উভয় তীর ঐ ব্ৰজমণ্ডলের অন্ত3 ভুক্তি। ব্ৰজ, গোকুল, বৃন্দাবন, গোবৰ্দ্ধন প্ৰভৃতি ব্ৰজমণ্ডলে সুপ্ৰসিদ্ধ। V3 গোকুলের অপর নাম-ব্ৰজধাম । সেই ব্রজধামে নন্দালয়ে শ্ৰীকৃষ্ণস্বাগৰিন। বলরাম লালিত পালিত ও বদ্ধিত হইয়াছিলেন। যমুনার এক পারে মথুরা এবং অপর পারে ব্ৰজধাম অবস্থিত ছিল। বৰ্ত্তমান মথুরা-সহরের প্রায় তিন ক্রোশ উত্তর-পূর্বে এখনও গোকুল, ব্ৰজধাম ও নন্দালয় চিহ্নিত হইয়া থাকে। গোকুলে ব্রজধামে, শ্ৰীকৃষ্ণের অপূর্ব বাল্য-লীলার কাহিনী-শ্ৰীমদ্ভাগবতে এবং ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণে বিশদভাবে পরিবর্ণিত আছে। * পরবর্তী ইতিহাসে মথুরার সঙ্গে সঙ্গেই গোকুলের অস্তিত্ব মিশিয়া গিয়াছে। অক্রুর আসিয়া ব্ৰজধাম হইতে শ্ৰীকৃষ্ণ-বলরামকে মথুরায় ধনুৰ্যজ্ঞে লইয়া যান। তাহার পর হইতেই মথুরা শ্ৰীকৃষ্ণের লীলা স্থান বলিয়া প্ৰসিদ্ধি লাভ করে। বৃন্দাবনে নগর-প্রতিষ্ঠা সম্বন্ধে একটি পৌরাণিক আখ্যায়িকা আছে। বরাহপুরাণে দেখিতে পাই, ব্রজধামের অন্তর্গত দ্বাদশ বনের মধ্যে বৃন্দাবন অন্যতম। গোপবালকসহ শ্ৰীকৃষ্ণ সেই বনে গোচারণে যাইতেন। বৃন্দাবনে গোচরণ-কালে ব্ৰজবালকগণ শ্ৰীকৃষ্ণের অদ্ভুত ক্রিয়া-কলাপ দৰ্শন করিত। সেই কথা ব্রজধামে প্রচারিত হয়। ফলে, ব্ৰজবাসিগণ সকলেই বৃন্দাবন-দর্শনে ঔৎসুকান্বিত হন। সঙ্গে সঙ্গে শ্ৰীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে BD DB BBBD DBBD S DBDBDB S DDB BDBDD DBDBDDSDB DBBD DS

  • শ্ৰীমন্ত্যাগবতে, দশম স্বপে, পঞ্চম অধ্যায়ে, ব্রজধামের বিবরণ বর্ণিত আছে। ব্ৰহ্মৱৈৱৰ্ত্ত-পুরাণে, শ্ৰীকৃষ্ণের জন্মখণ্ড অংশে, সপ্তদশ অধ্যায়ে, বৃন্দাবন-নিৰ্ম্মাণ-প্ৰসঙ্গ বিশদ পরিবর্ণিত। 蜗