পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] هم يستها 8ఠిడ్ల যায় না, আবার শত্রু সহসা কোথা হইতে উপস্থিত হইবে পারেও কিছু সৈন্ত রহিল। কোন দিক দিয়া শক্ৰ আসি, কেহ বলিতে পারে না। অনির্দিষ্ট ভাবে সৈম্ভের অভিযান ইতস্ততঃ চালনা করা যায় না, শত্রুর অবস্থিতির স্থান নিরূপণ না করিয়া শিবিরও স্থাপন কয়া যায় না। সেনাপতির চিন্তার সমুহ কারণ উপস্থিত হইল। অগত্যা সম্মুখে সঙ্কীর্ণ নদী দেখিয়া ও চারিদিকে মুক্ত সমভূমি লক্ষ্য করিয়া সেনাপতি শিবির রচনা করিলেন। শিবির হইতে দূরে চারি পাশে অল্পসংখ্যক সৈন্ত রক্ষিত হইল, নদীর যুদ্ধ আরম্ভ হইবে এবং সৈন্ত-শিবিরে সংবাদ আসিে রাত্রে শিবিরে আলোক বা অগ্নি জালা নিষিদ্ধ। সৈছে সন্ধ্যার পূর্কেই আহারাদি করিয়া, অস্ত্ৰ শস্ত্র পাশে রাখি শয়ন করিত, প্রহরীরা পালা করিয়া সমস্ত রাত্রি জাগি থাকিত । তলিত সমস্ত রাত্রি নিঃশব্দে আকাশে বিচ করিত, কখন আরাতাম চালনা করিতেন, কথন নাি চাঙ্গাইত। ( ক্রমশঃ পান্থশালা শ্ৰী শৈলেন্দ্রনাথ রায় ধবণীর এই পান্থশালে যুগে যুগে কালে কালে অরুণ উদয় হ'তে সন্ধ্যা-ছায়া-লেখা— গ্ৰীষ্ম হতে বর্ষা, ক্রমে বসস্তুের টানি ঋতু-রেখা,— - অনন্তু বিচিত্র পথ ধরে” অনাদির যাত্রী সব এসে ভিড় করে । মুদুরের পথ-পার থেকে, নিয়ে আসে চোখে তার লেখে অপরিচয়ের বাণীখানি । সবে ভাবে,--নাহি এরে জানি এ মুখ চিনি না কোন কালে ।” পান্থ-রূপে এই যাত্ৰী-শালে,— ক্ষণিক বিশ্রাম শেষে অশেষ যাত্রার মোহে মেতে, ੋਕ পথিক যবে সুদীর্ঘ পথের খোজ পেতে, যাত্র-পথে সুগোপন কি ইঙ্গিত লভি,’— বিদায় লইতে যায় ; সবি মনে মনে চমকিয় উঠে ;– ইহারে বিদার দিতে প্রাণে প্রাণে ব্যথা কেন ফুটে ?- - ; কেন আঁখি ভ'রে আসে জলে ? হৃদয় করিল জয় কবে কোন ছলে পরিচয়হীন পাস্থ ; যেন মনে হয় অনাদির কোন প্রাতে ছিল পরিচয় এর সনে ;–ছিল জানাজানি তদবধি এরি মুক্তিখানি কল্প-লোক-রহস্যের সনে ছায়া হয়ে মিশে ছিল মনে!” ইহারে বিদায় দিতে রক্তে রক্তে উঠে আলোড়ন নাড়ীতে নাড়ীতে বাজে যাতনা-কম্পন । যেন এরি লাগি, এই পান্থশালা প্রতি পল জাগি জাগি, ছিল অপেক্ষিয় ; ইহারে পাইয়া ধন্ত মেনেছিল যেন । কে বলিবে কেন— সবে ভাবে,—‘এর কানে কানে অতি ধীরে আপন গোপন কথা বলা হয়নি রে!” নিজে সে জানে না কোন গোপন সে কথা— তবু মনে জেগে রয় ব্যথা ! •••• নবীন অজানা যাত্রী পান্থশালা হ’তে, বাহিরায় নিজ যাত্রা-পথে । সবে ভাবে,—“কাল যাহা ছিল আজ নাই— বুকে ব্যথা বেজে রয় তাই।’ যত ভাবে চোখে তত জল ভ’রে আনে ;— চেয়ে থাকে দীর্ঘ পথ-পানে ।