পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা } (Mr. Hassai) сечfs gospoš esse čew চিত্রকার (Oil painters ) । সুতরাং প্রাচীর চিত্রশিল্প যে শ্রেষ্ঠ কলাবিদের প্রতিভা ক্ষুণ্ণকারী অথবা তাহার মৰ্য্যাদার হ্রাসকারী একথা বলিবার যো নাই। বরং ইহাই বলা যাইতে পারে যে, খুব ভাল বা বড় আটিষ্ট না হইলে পোষ্টার চিত্রকে আটের দিক্ দিয়া সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর করিতে পারেন না। বিজ্ঞাপনটি এমন চমকৃপ্রদ করিয়া তুলিতে হয়, যাহাতে দর্শক তাঁহা ফ্লু দণ্ড দাড়াইয়া দেখে। বলা বাহুল্য, এইরূপ সৃষ্টি যে-সে শিল্পীর কৰ্ম্ম নহে। আজকাল বাণিজ্য-জগতের উগ্র প্রতিযোগিতা-হেতু এবং ধনোৎপাদনের অত্যাগ্রহে কলার দিক্ দিয়া যত না হউক, দৃষ্টি আকর্ষক নিত্য নূতনের সন্ধানে শিল্পকলার শৈলী ও যান্ত্রিক কৌশল ( technique ) লঙ্ঘন করিয়াও স্বষ্টিছাড়া রূপ রচনা ও বিভূতকিমাকার অঙ্গপ্রচেষ্টাত্মক চিত্রের প্রতি লোকের ক্টোক অধুনা বাড়িয়াই চলিয়াছে। ব্যবসায়-ক্ষেত্রের বিজ্ঞাপনী চিত্রের দ্যায় সাহিত্যেক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সমাজ রহস্তোদ্ভেদক ব্যঙ্গচিত্রেরও (caricature) কদর দিন দিন বৃদ্ধি পাইতেছে। পশ্চিমের এই আবহাওয়া প্রাচ্যেও যে স্বল্প হইতে বসিয়াছে। বিজ্ঞাপনের যুগ যে ভারতেও জারী হইয়া গিয়াছে, আজকাল আর তাহার নিদর্শনের অভাব নাই। কলিকাতার হার বড় বড় শহরের রাজপথ দিয়া যাহারা দুই পাশ্বে দেখিতে দেখিতে আসা যাওয়া করেন, ধৰ্ম্মতলা, চৌরঙ্গী, ধড়বাজার প্রভৃতির স্তায় বাণিজ্য-প্রধান স্থানের বড় বড় চৌমাথার দাড়াইয়া যাহার একবার চারিদিকে চোখ ফিরাইয়া দেখেন, বায়ন্তোপ, সার্কাস, থিয়েটর প্রভৃতির সম্মুখে বড় বড় তক্তায় ( board ) বা দেয়ালের গায়ে আঁটা মস্ত মস্ত ছবির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন, অথবা স্থানে স্থানে উচ্চ উচ্চ সৌধ-প্রাচীরের উচ্চতম স্থানে নানা পণ্য দ্রব্যের শত শত চিত্র নিত্য দেখিয়া থাকেন। পিঠে বিজ্ঞাপনের তক্ত আটা ও তদনুরূপ ছাতা টুপী মাথায় প্রচার-মুখর সজীব বিজ্ঞাপনী চিত্র সহরের রাজপথে, অলিতে-গলিতে রঙ্গভঙ্গে যাইতে দেখেন তাহারাই জানেন ব্যবসায়ের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের সম্বন্ধ কি এবং বাণিজ্য-জগতে তাহার স্থান কোথায়। এখন বিজ্ঞাপন ব্যতীভ, ব্যবসায়ে উন্নতি করা একপ্রকার অসম্ভব। বাণিজ্য-সহায় চিত্রশিল্প 88૭ ইহা কৃষি শিল্প বাণিজ্যের সহিত যেমন অবিচ্ছেদ্য হইয়া গিয়াছে, সাহিত্যু-ক্ষেত্রেও তেমনি অপরিহার্য্য হইরা বিজ্ঞাপনী চিত্র-তেলের উঠিয়াছে। বিগত মহাসমরের সময় হইতে ইহার প্রভাব সমগ্র জগতে অনুভূত হইতেছে এবং ভারতেও ইহার প্লাবন আসিয়াছে। মিষ্টার পানী ব্রাউন এই যুগলক্ষণ ধরিয়া এবং ভবিষ্যতে বিজ্ঞাপনী চিত্রশিল্পের কি পরিমাণ চাহিদা হইবে, তথা দক্ষ শিল্পীর অভাব কত তীব্র ভাবে দেখা দিবে এবং ব্যবসায়জগৎ তাহাতে কতটা অসুবিধা বোধ করিবে তাহা উপলব্ধি করিয়াই কলিকাতা গবর্ণমেণ্ট স্কুল অব আর্টে “কমার্শাল আর্ট “ বিভাগ খুলিয়া এই নুতন অর্থকরী শিক্ষার প্রবর্তন