পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b-e সেই দিকে সুদক্ষ কারিগর দিয়া একটা চন্দন কাষ্ঠের তালি লাগাইয়া লওয়া হইল এবং রাজ-প্রাসাদের বাতায়নগুলিতে বানরের প্রবেশ নিবারণার্থ গরাদে বাসন হইল।” AM MMMAMMMA AMAMA AMMAMAAMAMMAAAA প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৫ MMAMAMMAMeMMAMeeeMAeeAAA AAAAA [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড TAMAMeAMeAMAMAM নিরাড়ম্বর বাবু গল্প শেষ করিয়া ঘড়ির দিকে তাকাইয় বলিলেন, “সৰ্ব্বনাশ | রাত প্রায় ন’টা বাজে । আজ আর নয় ; চলি।” যবদ্বীপের পথে ঐ স্থনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (৩) মালাইদেশ-সিঙ্গাপুরে চীনা বৌদ্ধ বিহার ২৪শে জুলাই, রবিবার। আজকের কাজ ছিল তিনটী— &ri itif: ris: Palace Gay Theatre atan g: সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে চীনা শিক্ষক আর ছাত্রদের কাছে কবির বক্তৃতা, আর বিকাল বেলায় সাড়ে চারটে থেকে ছটায় সিগলাপে শ্ৰীযুক্ত নামাজী মহাশয় একটি সান্ধ্যসম্মিলনের ৰ্যবস্থা করেন, যাতে কবিকে সংবৰ্দ্ধনা করবার জন্য সিঙ্গাপুরে সব জাতের লোক মিলিয়ে যে একট International Fellowship qi of offso isola গড়ে তোলা হয়েছিল তার সভ্যদের তিনি কবির সঙ্গে আলাপ পরিচয় করবার জন্ত আহবান করেন । তারপর সন্ধ্যার পরে সিঙ্গাপুরের ভারতীয়দের এক mass meeting বা জনসাধারণের সভা। সিঙ্গাপুরের চীনা শিক্ষকেরাই আগ্রহ করে Palace Gay Theatre এর সভার ব্যবস্থা করেন। বেশ বড়ো থিয়েটার ঘর, লোকে ঠাসা-চীন ছাত্র, চীনা ছাত্রী, চীনা মেয়ে আর পুরুষ মাষ্টার। সিঙ্গাপুরের শিক্ষিত ভদ্র চীনার মেলা বললেই হয়। কবির সঙ্গে উপরে মঞ্চের উপর আমাদের বসিয়ে’ দেওয়া হ’ল-নীচে খালি কালোচুল মাথা, আর সাদা পোষাক, সাদা জীনের পাজাম -জার গলা-আঁটা কোট-পরা ভদ্রলোক,--আর মেয়েদের কালে বা রঙিন ঘাগর ; যুবক আর ছোক্রাদের উদগ্রীষ উৎসাহশীল বুদ্ধিত্রীতে মণ্ডিত চাওনী, আর তাদের সোনার-ৰূলক-দেখানে হাসি (প্রায় চৌদ্দ আন লোকের ২৫টা করে দাত সোনা দিয়ে বাধানো ), আর কচিং গম্ভীর মূৰ্ত্তি কচ্ছপের-খোলার-চশমাপরা সেকেলে চীনা পোষাক গায়ে স্থই এক জন প্রাচীন চীনা—শ্বাশ্রমান ঋষিকল্প চেহারা, যেন এক একট লাউ-২সে বা খুং-ফুৎসে বসে আছেন। মেয়েদের বসবার ব্যবস্থা সামনের দুটো তিনটে পংক্তিতে হয়েছিল। হলের মধ্যে সমস্ত লোকের জায়গা হয় নি, তাই বাইরেকায় বারান্দায়ও খুব ভীড় জমেছিল । চীনদেশের কন্দাল ছিলেন সভাপতি। বক্তৃত ছিল দুটোর দিকে বিকালে। আমরা পৌঁছুলুম, কবির আগমনে র্তার সম্বৰ্দ্ধনার জন্য চীনাছাত্রদের ইংরাজী ব্যাও বাজনা বেজে উঠল। বয়-স্কাউট বা ব্ৰতীবালকদের রেওয়াজ চীন স্কুলের ছেলেদের মধ্যে খুবই আছে। আবার বড়ে বড়ো চীনা ইস্কুল ছেলেদের দ্বারায় চালিত school band আছে। এ সব ব্যাপার বিশেষ পয়সা-সাপেক্ষ, কিন্তু চীনার তাদের ইস্কুলগুলিকে কেতী-ফ্রস্ত ক’রে রাখবার জন্ত অকাতরে অর্থ ব্যয় ক’রছে। প্রায় সকল ইস্কুলেই ছেলেদের খাকী কাপড়ের উর্দী পরে আসা . নিয়ম। কলকাতায় চীনের এক ইস্কুল ক’রেছে, সেখানেও সেই ব্যবস্থা দেখেছি। এই উদী পরিয়ে’ ব্যাণ্ড বাজিয়ে’ ব্রতী বালকের দল তৈরী ক’রে, ছেলেদের মধ্যে অল্প বয়স থেকেই যে একটা সমবেত জীবনের ধারা এনে দেওয়া হয়, সেটার প্রভাব আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে তাদের ব্যক্তিগত চরিত্রকে বিশেষভাবে উন্নত ক’রে দেয়, আর পাঁচজনের সঙ্গে সমাজের কল্যাণের জন্ত নিজের অসুবিধাকে উপেক্ষা করে কাজ ক’রে যাবার একটা প্রবৃত্তিকে জাগিয়ে তোলে। চীনারা এইটা বেশ বুঝেছে। বাজনা ধামূল। আমাদের ফঙের দাদা (চুন-গুমান ইস্কুলের হেডমাষ্টার ঐযুক্ত ফ্যঙ শূপাং মহাশয় ) দাড়িয়ে পেকিঙের চীনায় উচ্চৈঃস্বরে জানিয়ে দিলেন, কাদাল মহাশয় বক্তৃতা করবেন। মঞ্চের উপর একখানা বোর্ডে খড়ি দিয়ে ঐ দিনকার কার্যবিবরণী লেখা ছিল। কিন্তু তা সত্বেও প্রতি বক্তার নাম ইত্যাদি, শ্রোতাদের জানিয়ে দেওয়ার এই রকম রেওয়াজ দেখছি.এদের মধ্যে আছে।