পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

888 প্রবাসী—আষাঢ়, లిలి(t [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড পারে না তাঁহাদের উপার্জন কম হয়, সুতরাং তাছাদের যথেষ্ট পুষ্টিকর খাদ্য জুটে না । ইহাতে ছৰ্ব্বলতা বৃদ্ধি পাইয়া শ্রমশক্তি আরও কমে। যাহারা বাঙালীদের মত এত দীর্ঘকাল ম্যালেরিয়ায় জর্জরিত হয় নাই, রেলের সুবিধা বশতঃ তাহারা দলে দলে বঙ্গে আসিয়া শ্রমের ক্ষেত্রে বাঙালীদের চেয়ে নিজেদের অধিক কাৰ্য্যকারিত প্রদর্শন করায় বাঙালী নিজের উপর বিশ্বাস হারাইয়া আরও অবসাদগ্ৰস্ত, শ্রমে অসমর্থ ও শ্রমবিমুখ হইয়া থাকিবে । আমি আরও একটি কারণ অনুমান করি। বঙ্গে পূৰ্ব্বেও বাল্যবিবাহ প্রচলিত ছিল, কিন্তু শাস্ত্রীয় আচার এখনকার চেয়ে অধিক পালিত হইত বলিয়া বাল্যমাতৃত্ব । কম ছিল, সুতরাং অধিকতর মুস্থ, বলিষ্ঠ ও জীবনীশক্তিসম্পন্ন শিপ্ত ভূমিষ্ঠ হইত। সেকালে বাল্যে বিবাহিত অনেক বাঙালী মহিলার আঠার, উনিশ বা একুশ বৎসর বয়সে প্রথম সস্তান হওরার কথা আমি নিজে জানি । বাংলা দেশকে ম্যালেরিয়ামুক্ত করিতে হইলে রাজশক্তির প্রয়োগ প্রয়োজন। রেল বিস্তারের আনুষঙ্গিক যে যে কারণে ম্যালেরিয়া বাড়িয়াছে, তাহার প্রতিকার রাজশক্তিরই সাধ্য এবং রাজশক্তির কর্তব্য। নদী ভরাট হইয়া যাওয়ার এবং বর্ষায় পূৰ্ব্বে যে সব নদীর ছ ধারের জায়গা প্লাবিত হুইত, এখন অনেক স্থলে তাহা না হওয়াতেও ম্যালেরিয়া বাড়িয়াছে। কচুরীপানার প্রাচুর্ভাবে চাষ কমিয়া যাওয়াও ম্যালেরিয়া বৃদ্ধির একটি কারণ। এইসব দিকে প্রতিকারের চেষ্টা স্বরাজ স্থাপিত হইলে অপেক্ষাকৃত সহজ সাধ্য হয় বটে, কিন্তু বর্তমান অবস্থাতেও যাহা হইতে পারে, তাহার চেষ্টা করা উচিত । বঙ্গে রোজগারের নানা পথ খুলিয়া দিবার নিমিত্ত মাথা ঘামাইতে হইবে । পণ্যশিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাঙালীকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিতে হইলে মুলধন জোগাইবার নিমিত্ত বাঙালীদের নিজের ব্যাঙ্কের প্রয়োজন হইবে। কেন না ইহা নিশ্চিত, যে, বঙ্গের বাণিজ্য ও পণ্যশিল্পের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বিদেশীর ধেমন এবিবয়ে বাঙাগীদের সাহায্য করিবে না, তেমনই ঐ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত বিপ্রদেশী মাড়োয়ারী, গুজরাতী, কচ্ছী, দিল্লীওয়াল, পঞ্জাবী, মাঞ্জাজী প্রভূতিরাও বাঙালীয় সাহায্য করিবে না। ছুর্ভিক্ষে অনুগ্রহের দান সকলেই করিতে পারে। কিন্তু প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে যে এখন নীচে আছে, তাহাকে সমকক্ষ বা শ্রেষ্ঠ হইবার সুযোগ দিতে কেহ সন্মত হইবে, এরূপ দুরাশ পোষণ করা উচিত নহে। ইহা বঙ্গের ব্যবসা বাণিজ্যক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত অ-বাঙালীদের একচেটিয়া দোষ নহে, প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে পৃথিবীর সর্বত্রই ইহা দৃষ্ট হয়। ভারতবর্ষের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের অধিবাসীদের পরস্পরের মধ্যে ব্যবহারে ইহার ব্যতিক্রম হওয়া অসম্ভব নর ; হইলে আনন্দিত হইব । _ বঙ্গীয় ব্যাঙ্ক-সংঘ বঙ্গে বাঙালীদের ব্যাঙ্ক ও লোন-অফিসগুলিকে সংঘবদ্ধ করিবার এবং কলিকাতায় বাঙালীদের একটি ফেডার্যাল ব্যাঙ্ক স্থাপন করিবার যে-চেষ্টা হইতেছে, তাহ সময়োচিত । আশঙ্কাপরায়ণ অনেকে মনে করিবেন, সময়োচিত নহে ; কারণ এই ত সেদিন বেঙ্গল দ্যাশন্তাল ব্যাঙ্ক উঠিয়া গেল, এবং বঙ্গলক্ষ্মী কটন মিলের দুর্দশার জন্ত তাহা নুতন ম্যানেজারদের হাতে গেল। ইংরেজ প্রভৃতি বড় বড় বণিক জাতির ইতিহাসে ইহা অপেক্ষাও শোচনীয় আর্থিক দুর্ঘটনা ও লজ্জাকর প্রতারণা ঘটিয়াছে। ভারতবর্ষেই ত তাহাদের কয়েকট ব্যাঙ্ক প্রবঞ্চকদের অপকৰ্ম্মে উঠিয়া গিয়াছে। কিন্তু তাহারা সে কারণে ব্যাঙ্কিঙের ক্ষেত্রে নূতন উদ্যম ছাড়িয়া দেয় নাই। বাংলাদেশে কাৰ্য্যদক্ষ, অভিজ্ঞ ও সৎ লোকের একান্ত আভাষ ঘটে নাই । তাহাদের চেষ্টায় বঙ্গীয় ব্যাঙ্ক-সংঘ ও ফেডার্যাল ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত ও সুপরিচালিত হইতে পারে। এই চেষ্টার বিস্তারিত বৃত্তাত্ত কলিকাতার ১৫নং হেয়ার স্ট্রীট ভবনে সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত হরিশ্চন্দ্র সিংহ পিএইচ ডি মহাশয়ের নিকট হইতে পাওয়া যাইবে । _ সিটি কলেজের জন্য চাদা কাহারা দিয়াছেন সিটি কলেজ সম্পর্কে অনেক অমূলক কথা প্রচারিত श्हेब्र अनिप्टप्झ । उ िशंग्न ८कोन्क्लोब्र अछ cक गोर्यौं,