পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথের দুটি চিঠি [ঞ্জ জ্ঞানচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত! ( , ) હૈં श्रांख्रिब्रिकडन সবিনয়নমস্কারপূর্বক নিবেদন, আপনার পত্ৰখানি পড়িয়া আনন্দিত হইলাম। কিছুদিন হইতে বাংলা দেশের যুবকদের ভাব-গতিক দেখিয়া বড়ই হতাশ হইতেছিলাম। স্বদেশ-ভক্তির নাম লইয়া বিচার, বুদ্ধির অন্ধত সমস্ত দেশে ব্যাপ্ত হইয়াছে। এমন-কি আমার এই বিদ্যালয়ে অল্পবয়সের যে-সব ছাত্র আসে তারাও এমন একটা বিরুদ্ধ বুদ্ধি লইয়া আসে যে হার মানিতে হয়। যে-মূঢ়তা স্বাভাবিক তার প্রতিকার আছে। কিন্তু যে-মুঢ়তা কৃত্রিম-যাহা জোর করিয়া কোমর বাধিয়া সৰ্ব্বত্র তাল ঠকিয় বেড়ায়, তার সঙ্গে পারির ৪ঠা দায় । আমি একরকম হাল ছাড়িবার চেষ্টাতেই ছিলাম, এমন সময় এই বক্তৃতার [ “কৰ্ত্তার ইচ্ছায় কৰ্ম্ম” ] তাগিদ আসিল। আর যাই হোক একটা দেখিলাম, রাক্ষসটাকে যত প্রকাও প্রবল বলিয়া মনে হইত উহার জোর ততটা নয়। উহার আয়তন বড়, কিন্তু ভিতরটা ভুয়ো । একটু ধাক্কা মারিলেই দেখি টলমল করিয়া উঠে । সুতরাং যে পৰ্য্যস্ত না কাৎ হইয় পড়ে মাঝে মাঝে ধাক্কা মারিবার সঙ্কল্প রছিল। দূর হইতে আপনাদের উৎসাহবাণী কাজে লাগিবে। ইতি ৬ই ভাদ্র, ১৩২৪ उदीग्न ঐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( २ ) હૈં সাদরনমস্কারপূর্বক নিবেদন, আপনার চিঠিখানি পড়িয়া বড় আনন্দিত হইলাম। আমি আমাদের দেশের মানসিক কারাবাসকে রাষ্ট্রীয় অধীনতার চেয়ে বড় দুৰ্গতির লক্ষণ বলিয়া মনে করি এবং সে-কথা নানা উপলক্ষ্যে বারবার বলিয়া থাকি। এমনি করিয়া বাংলা দেশের লোককে আমার প্রতিকূল করিয়া তুলিয়াছি। এইজন্য আপনাদের কাছ হইতে আমার মত ও চেষ্টা সম্বন্ধে যখন সন্মতি পাই তখন বড় আরাম বোধ করি। আমাদের সমাজে অনেক দিন হইতে উজান স্রোত ঠেলিয়৷ চলিয়াছি। আজকাল কখনো কখনো ছুটির জন্য মন ব্যাকুল হয় ; কিন্তু বুঝিতে পারিয়াছি শেষ পর্য্যন্ত ছুটি মঞ্জুর হইবে না, কারণ কাজের অন্ত নাই। অনেক দিন লিখিবার সময় পাই নাই বটে, কিন্তু অন্ত আকারে কাজ করিতে হইতেছে। অামার কাজের ধারা একই, তাহার লক্ষ্যও এক—কাজেই দেশের লোকের সহায়তা হইতে বঞ্চিত হইয়া আমাকে একলাই চলিতে হুইবে । আমার দ্বারা দেশের স্তব, দেশের লোকের জয়-গান হইবে না, অতএব দিন গতে আমার মজুরী মিলিবে না। কিন্তু নিজের জয়-পরাজয়ের বিচার না করিয়া সত্যের মুনিশ্চিত সফলতার প্রতি আস্থা রাখিয়া শেষ পর্য্যস্ত যেন স্থির থাকিতে পারি এই আমার কামনা। ইতি ৬ই ভাদ্র, ১৩২৯ ভবদীর শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর भाखिनित्कउन গীতার অক্ষর ও ব্রহ্ম মহেশচন্দ্র ঘোষ উপনিষৎ ও ব্রহ্মস্বত্রে পরমাত্মাকেই অক্ষর এবং ব্ৰহ্ম বলা হইয়াছে। গীতাতে এবিষয়ে দুইটি বিরোধী মত দৃষ্ট হয়। গীতাকার উপনিষদাদির মতও গ্রহণ করিয়াছেন। কিন্তু কোন কোন স্থলে অক্ষর ও ব্রহ্মকে নিম্নতর স্থান দেওয়া হইয়াছে। আলোচনা করিয়া দেখা যাউক গীতা কারের প্রকৃত মত কি