পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tres প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৫ [ ২৮শ ভাগ, ১ম খণ্ড “র্তাহাকে জ্যোতিঃ-সমূহের ও জ্যোতিঃ এবং অন্ধকারের পর ( অতীত ) বলা হয় । তিনি জ্ঞানস্বরূপ, জ্ঞেয় ও आगंनशंश ; डिनि जकरणब्र झनरब्र अशिबैिठ” । (शनि সৰ্ব্বস্ত ধিষ্ঠিতম্ ) ১৩১৮ । - এই শ্লোকের শেষ চরণে বলা হইল যে, পরমাত্মা সকলের হৃদয়ে অধিষ্ঠিত। - ( t ) এ বিষয়ে ভগবান আর এক স্থলে বলিয়াছেন—“আমি সকলের হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট (সৰ্ব্বস্ত চ অহম্ হৃদি সন্নিবিষ্ট: ) bt | St | ( > ) আর একটি শ্লোক এই – *হে অৰ্জুন ! ঈশ্বর মায়া দ্বারা যন্ত্রারূঢ়ের স্তায় ভূতসমূহকে ভ্রমণ করাইয়া সৰ্ব্বভূতের হৃদয়- দেশে অবস্থিতি করেন ( হৃদ-দেশে••• তিব্বতি) ১৮৬১ । এই শেষ তিনটি স্থলে বলা হইল ঈশ্বর মানবের হৃদয়ে বা হৃদেশে বর্তমান । হৃদয় শব্দের একাধিক অর্থ করা হইয়াছে। অধিকাংশ ভাষ্যকার ও টীকাকারের মতে হৃদয় অর্থ‘বুদ্ধি’। শঙ্করানন্দ বেদান্তদেশিক ও রাঘবেস্ত্রের মতে ইহার অর্থ হৃৎপিণ্ড বা হৃৎপিণ্ডস্থ আকাশ। উপনিষদের সহিত সামঞ্জস্ত করিতে হইলে এই দ্বিতীয় অর্থই গ্রহণ করিতে হয় ( বৃহঃ উপঃ ৪।৪।২২ ; ছন্দোগ্য ৮৬২,৩ ইত্যাদি দ্রষ্টব্য )। যে অর্থই গ্রহণ করা যাউক না কেন, সমগ্র অংশের ভাবার্থ এই – পরমাত্মা মানব-দেহে বর্তমান । এ স্থলে প্রশ্ন—“কিরূপে বর্তমান ? না, রূপে । আমরা যে আত্মকে জীবাত্মা বলিয়া থাকি, ভগবান মানবদেহে সেই আত্মারূপে বর্তমান। আবার প্রশ্ন হইতে পারে, কি ভাবে বর্তমান—পূর্ণভাবে, না অংশভাবে ? উভয় মতই সমর্থিত হইতে পারে। কেহ বলেন, পরমাত্মা পূর্ণ ভাবে, কেহ বা বলেন অংশভাবে হৃদয়পিওে জীবাত্মারূপে अरुहिज्र । উক্ত শ্লোকসমূহের শেষ ছয়টি দ্বারা অংশবাদও সমর্থন করা যাইতে পারে ; কিন্তু প্রথম ছয়টি অংশ হইতে প্রমাণিত হয় যে, জীবাত্মা ও পরমাত্মা সম্পূর্ণরূপেই এক । ബ ب- * -ww'۶یب* می۶Rه**يه অংশবাদ দুই একটি স্থলে গীতাকার স্পষ্টভাবেই অংশবাদ সমর্থন করিয়াছেন । ভগবান একস্থলে বলিয়াছেন—“জীবলোকে জীবভাব আমারই এক সনাতন অংশ” “(মমৈবাংশে জীবলোকে জীবভুত: সনাতন: ) ১৫৭ ৷ এ স্থলে যে জীবাত্মার কথাই বলা হইয়াছে সে-বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই ; কারণ উক্ত শ্লোকেরই তৃতীয় ও চতুর্থ চরণে বলা হইয়াছে যে, “ইহা প্রকৃতিতে অবস্থিত পঞ্চেविश्ब्रटक ७द९ षट्ठेविब्र भन८क श्रांकर्ष* करब्र * এ স্থলে বলা হইল, জাবাত্মা পরমাত্মার এক অংশ। এই অংশ নিত্য ও সনাতন । নিত্যকালই ইহা অংশরূপে বর্তমান। এই অংশের আদিও নাই, অন্তও নাই । সমগ্র বস্ত এবং ইহার অংশ সৰ্ব্বভাবে কখনই এক হইতে পারে না । সুতরাং জীবাত্মা পরমাত্মা হইতে কিছু পৃথক্ , যাহ। নিত্যকালই সম্পূর্ণরূপে পৃথক, তাছা কথন অংশ হইতে পারে না। অংশ বলিলেই স্বীকার করিয়া লওয়া হয় যে, অন্ততঃ এক সময়ে ইহা মূল বস্তুর সহিত সংযুক্ত ছিল । কখনই সংযুক্ত ছিল না, অথচ অংশ-এ প্রকার কল্পনা করা যায় না। আবার বখন বলা হইল “এই অংশ নিত্য, তখন বলিতেই হইবে যে, এই অংশ নিত্যকালই মূলবস্তুর সহিত সংযুক্ত। একসময়ে সংযুক্ত ছিল, কিন্তু এখন পৃথকৃভাবে রহিয়াছে, এ প্রকায় কল্পনা করিলে নিত্যতার হানি হয় । সুতরাং সিদ্ধান্ত এই যে, জীবাত্মা নিত্যকালই পরযাত্মার অঙ্গীভূত এবং নিত্যকালই এতদুভয়ের মধ্যে পার্থক্য রছিয়াছে ও থাকিবে। গীতার ঐ উক্তিতে ভেদ ও অভেদ উভয়ই স্বীকার করা হইয়াছে। যাহার ভেদরহিত অদ্বৈতবাদ স্বীকার করেন, তাহারাও নিজ মত সমর্থন করিয়া ঐ অংশের ব্যাখ্যা করিয়াছেন। কিন্তু সে-ব্যাখ্যা নিতান্তই কবিকল্পিত । প্রকৃত কথা এই যে, উক্ত অংশে ভেদাভেদ বাদ বt বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ স্বীকার কয় কইয়াছে।